আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের গুজরাটে মোরবি জেলার মচ্ছু নদীতে একটি ক্যাবল ব্রিজ ভেঙে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় এখনো ১০০ জনের মতো নিখোঁজ। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংস্কারের পর দিনকয়েক আগেই চালু করা হয়েছিল গুজরাটের ঐতিহাসিক ঝুলন্ত সেতুটি। গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঝুলন্ত সেতুটিতে দুর্ঘটনার সময় পাঁচ শতাধিক লোক ছিল। দেশটির পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
দুর্ঘটনায় শিশু ও নারীদের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানিতে ডুবে মৃত্যুর আশঙ্কা করছে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। জানা গেছে, শুরুতে স্থানীয়রাই উদ্ধার কাজে হাত লাগান। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
গুজরাট পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) আশিষ ভাটিয়া বলেন, উদ্ধারকাজ চলছে এবং অনেক মানুষকে উদ্ধার করে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বর্তমানে গুজরাট সফর করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার মধ্যেই ঘটে গেলো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য দুই লাখ রুপি ও প্রত্যেক আহত ব্যক্তিকে ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, অত্যধিক ওজন নিতে না পারায় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এছাড়া ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। যদিও কোটি টাকা খরচ করে তা মেরামতের পর চারদিন আগে জনতার জন্য খুলে দেওয়া হয়।
মর্মান্তিক এ ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে দায়ী করেছে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে কংগ্রেস।
সময় জার্নাল/এলআর