আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের আধিপত্য রুখতে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে চীন বিষয়ে এমন মন্তব্য করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। এই ঐকমত্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরে চীনের আধিপত্য ও বলপ্রয়োগের বিরোধিতা করে যাবে দেশ দুটি।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। চীন বিষয়ে ও ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলের সুরক্ষা পরিবেশ নিয়ে তারা দুই নেতা আলোচনা করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘পূর্ব চীন সাগর, দক্ষিণ চীন সাগরের পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে এবং চীন থেকে আসা নানান চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা এক সঙ্গে কাজ করব।’
সুগা বলেন, ‘আধিপত্য চালিয়ে ও বলপ্রয়োগ করে দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরের স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের প্রচেষ্টা এবং এ অঞ্চলে অন্যদের যেকোনো ধরনের হুমকির বিরোধিতা করতে আমরা একমত হয়েছি।’
দক্ষিণ চীন সাগরে তাইওয়ানের কাছে চীনের সামরিক তৎপরতা নিয়ে উদ্বিগ্ন জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। সুগা বলেন, তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দেন তারা। তাইওয়ানকে চীন নিজের আলাদা একটি প্রদেশ হিসেবে দেখে থাকে। যদিও তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন বলে দাবি করে আসছে।
তবে গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে থাকা তাইওয়ান নিজেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে। সম্প্রতি চীন তাইওয়ানে ২৫টি উড়োজাহাজ নিয়ে হানা দেয়, যার মধ্যে ছিল যুদ্ধবিমান ও পারমাণবিক বোমাবাহী উড়োজাহাজও।
পূর্ব চীন সাগরে সেনকাকু আইরল্যান্ডসে বেইজিংয়ের পদক্ষেপ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে ওয়াশিংটন ও টোকিও। সেনকাকু আইরল্যান্ডস জাপানের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চীন সেটিকে তাদের ভূমি হিসেবে দাবি করে থাকে।
সময় জার্নাল/আরইউ