শাহিনুর ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
দীর্ঘ ৫ বছরের প্রেম পরিনয়নে প্রেমিক যুগলের গোপনে করা বিয়ের পারিবারিক স্বীকৃতি পেতে স্বামীর বাড়িতে ৫দিন ধরে অনশন করছেন তার স্ত্রী।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজ গেট এলাকার প্রভাবশালী পলাশ মিয়ার ছেলে নাঈম ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ও মেয়েটির পরিবার জানান, দীর্ঘ ৫ বছর আগে নাঈম ইসলাম(২৫) একই এলাকার কাঞ্চনশ্বর গ্রামের হতদরিদ্র গাড়ি চালক সাইদুল ইসলামের মেয়ে জেরিন সীমা সোহেলী (১৯) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে বেড়িয়ে এক পর্যয়ে তা শারীরিক সম্পর্কে রুপ নিলে বিয়ের জন্য চাপ দেন প্রেমিকা। প্রেমিকার দাবি পুরনে গত ৭ মাস পুর্বে লালমনিরহাট নোটারী পাবলিকের এ্যাফিডেভিটি মুলে গোপনে বিয়ে করেন তারা। এরপর থেকে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরা ফেরা করেন এবং শারীরিক সম্পর্কেও মিলিত হন।
তাদের গোপনে করা বিয়েকে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে ঘরে তুলে নিতে স্বামী নাঈমকে চাপ দেন স্ত্রী জেরিন সীমা। সেটা নিয়েও টালবাহনা শুরু করেন স্বামী নাঈম। আজ কাল বলে বিলম্ব করেন। এরই মাঝে বিষয়টি ব্যাপক ভাবে জানা জানি হলে স্বামী নাঈম ইসলাম তার পরিবারের চাপে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে।
অবশেষে বাধ্য হয়ে নোটারী পাবলিকের বিয়ের কাগজসহ স্ত্রীর দাবি নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর স্বামী নাঈমের বাড়িতে উঠেন স্ত্রী জেরিন সীমা। নাঈমের পরাবার এ বিয়ে প্রত্যাখান করে সীমার উপর মানসিক নির্যাতন করে বাড়ির উঠানে আটকিয়ে রাখে। বাহিরের গেটে তালা দিয়ে কারও সাথে যোগাযোগ করতে দেয়নি নাঈমের পরিবার। সেখানেই স্ত্রীর দাবিতে গত ৫ দিন ধরে অনশন করছেন তিনি।
জেরিন সীমার বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে আমার মেয়েকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় নাঈম। আমার মেয়ে শুক্রবার হতে তার স্বামীর বাড়িতে অভুক্ত অবস্থায় অনশন করছে। আমি এ ঘটনায় সু-বিচার কামনা করছি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল বলেন, দুই পরিবারের সাথে কথা হচ্ছে। মেয়েটির দাবিও যৌতিক। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দুই পরিবারকে নিয়ে আপোষ করতে চেয়েছেন। তারা চেষ্টাও করছেন। তবে বিষয়টি পুলিশের নজরে রয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর