আজাহারুল ইসলাম, ইবি প্রতিনিধি:
ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মিয়া মো. রাসিদুজ্জামান বলেছেন, প্রতি ধর্মে বলা আছে অহমিকাবে বিসর্জন দিতে হবে। প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীদের আমি শ্রেষ্ট মনোভাবের কারণে হানাহানি হয়। আমরা মনে করতে পারি না আমরা সমান। মেনে নিতে পারলে সম্প্রীতির জন্য যুদ্ধ করতে হতো না। মানুষদের মাঝে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরাই ভেদ তৈরি করেছি।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্ত্বরে আবৃত্তি বিষয়ক সংগঠন ‘আবৃত্তি আবৃত্তি’র আয়োজিত ‘সম্প্রীতির সংগ্রামে আমরা’ শীর্ষক কবিতাপাঠ অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, স্রষ্টা মানুষকে শ্রেষ্ঠরূপে সৃষ্টি করেছেন। তবে মানুষ দিনে দিনে শ্রেষ্ঠ থেকে হিংস্রতে রুপান্তরিত হচ্ছে। মানুষ মানেই তার মাঝে মানবীয় গুণ থাকতে হবে। যে মানবীয় গুণের সঠিক চর্চা করতে পারবে সেই প্রকৃত মানুষ।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সভাপতি নাঈমা পারভীন নীলার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন ও বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের এ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. আবু হেনা মোস্তফা জামাল হ্যাপি।
এছাড়াও ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু হুরাইরা, সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু, সংগঠনটির সাবেক সভাপতি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চের (ঐক্যমঞ্চে) সভাপতি নুরুল্লাহ মেহেদী, সংগঠনটির সভাপতি নাঈমা পারভীন নীলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন পর্নিনী সুম্মা। এসময় সংগঠনটির সদস্যরা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কবিতাপাঠ উপভোগ করেন।
এসময় সংগঠনের সভাপতি নাঈমা পারভীন নীলা বলেন, ‘নতুনরাই সংগঠনের প্রাণ, আজ সেই সুন্দর দিন। ‘আবৃত্তি আবৃত্তি’ ধারাবাহিকভাবে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় কাজ করে আসছে এবং এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। আমরা সবসময় নতুন ভাবে দেশ ও জাতির কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সুন্দর ভাবে কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো।’
সময় জার্নাল/এলআর