শাহিনুর ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তালুকদারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন সদস্য। তারা আবুল হাসেম তালুকদারের বিরুদ্ধে ১০টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, আবুল হাসেম তালুকদার চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর পরিষদ ভবন মেরামত ও রংয়ের কথা বলে সকল সদস্যদের কাছে থেকে চাঁদা সংগ্রহ করেন। কিন্তু পরে ইউনিয়ন পরিষদ মেরামত ও রংয়ের নামে ভুয়া বিল ভাউচার করে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ২ শত ৬১ টাকা সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করেন। পাশাপাশি ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে কালামের বাড়ি হইতে প্রধানমন্ত্রীর আবাসন প্রকল্প ও ৪ নং ওয়ার্ডে পাকা রাস্তা হতে সোলার প্যানেল পর্যন্ত রাস্তা মেরামত না করে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তালুকদার।
অভিযোগে ইউ-পি সদস্যরা দাবী করেন, গ্রাম্য সালিশের নামে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে বাদী ও বিবাদী প্রতি ১ হাজার ৫ শত টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করে আসছেন। এ ছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে বরাদ্দকৃর্ত সার ও বীজ বিতরণ না করে কালোবাজারের বিক্রির অভিযোগ তুলেন ১০ ইউ-পি সদস্য।
সানিয়াজান ইউ-পি সদস্য মানিক মিয়া, জাহিদুল ইসলাম ও সাহেব আলী অভিযোগ করেন, আবুল হাসেম তালুকদার চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমাদের মতামত না নিয়ে নিজের ইচ্ছামত পরিষদ পরিচালনা করে আসছেন। তার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি। আমরা আশা করি তদন্ত শেষে স্থানীয় প্রশাসন ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করবেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তালুকদার। তিনি বলেন, কয়েকজন ইউ-পি সদস্য অনিয়ম ও দুর্নীতি করার সুযোগ না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই ইউনিয়ন পরিষদের কিছু সদস্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এমআই