সময় জার্নাল ডেস্ক:
খুশকি বা ড্যানড্রপ ছোট বড় সবারই হতে পারে। শীতকালে এই খুশকি বেশি হয়। এসময় ধূলার পরিমান বেড়ে যায়। আর যারা ধূলাবালির মধ্যে কাজ করছেন নিয়মিত, প্রচুর ঘামছেন,তাদের এই সমস্যা আরো বেশি হয়।
এছাড়া মেয়েরা হিজাব পড়লে মাথায় অনেক ঘাম হয়। সারাদিনের কাজ শেষে তাদের উচিত বাসায় এসে প্রথমেই দ্রুত হিজাব খুলে মাথাটা শুকানো। যদি খুব বেশি ঘামেন ও বাসায় এসে শুকানোর পর মাথা আঠালো হয়ে পড়ে,তাহলে উচিত হচ্ছে গোসল সেড়ে ফেলা।
আর অবশ্যই গোসল শেষে মাথার চুল ভাল করে শুকাবেন। অল্প শুকিয়ে চুল বেঁধে ফেললে চুলে খুশকি ও ফাংগাস হয়ে চুল পড়া বেড়ে যাবে। এছাড়া চুলের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের ঘাটতি যেমন বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলস এর ঘাটতির কারণেও খুশকির সমস্যা হয়।
মাথায় বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলে সেগুলোর বাজে রাসায়নিক পদার্থ থেকেও খুশকি হতে পারে। তাই এসব প্রসাধনী ব্যবহারে সতর্ক থাকবেন। অনেকের স্কিন অয়েলি বা তৈলাক্ত। স্কিন বেশি তৈলাক্ত হলেও খুশকি হতে পারে। অয়েলি স্কিনের জন্য বার বার এই খুশকির সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই এটা বেশ বিরক্তিকর।
খুশকির আরেকটা কারণ হচ্ছে ড্রাই স্কিন বা ত্বকের শুষ্কতা, অর্থাৎ যাদের ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক, শরীরে প্রায়ই পানিশূন্যতা থাকে, তাদের স্কিনের শেডিংটা বেশি হয়। এর কারণে খুশকির প্রবণতা বেশি হয়। পানিশূন্যতা দূর করতে হবে। সেজন্য নিয়মিত প্রচুর পানি খাবেন।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ২-২.৫ লিটার পানি খাওয়া জরুরি। পানি খেলে ডিহাইড্রেশন দূর হয়, ত্বক সতেজ থাকে, শেডিং কম হয়, ফলে স্কিনের ঝরে পড়া কমে। অর্থাৎ খুশকির সমস্যা কমে যায়। এছাড়া কিছু চর্মরোগ যেমন একজিমা, সোরিয়াসিসের কারণেও খুশকির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই এসব রোগের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
সপ্তাহে দুইদিন এই শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। এই শ্যাম্পু মাথায় লাগিয়ে ফেনা তৈরী করবেন তারপর ৫-১০ মিনিট রেখে দিবেন। তাতেই খুশকি ভাল হয়ে যাবে। তবে যাদের একটু খুশকির পরিমাণ বেশি তাদের কিছু ওষুধ সেবনের প্রয়োজন পড়ে। সেক্ষেত্রে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেসব ওষুধ খাওয়া উচিত।
সময় জার্নাল/এলআর