আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন শহর বালিতে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী গ্রুপ অব টোয়েন্টির (জি২০) সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে জোটটির নেতাদের মূল আলোচনায় থাকবে ইউক্রেন যুদ্ধ। খবর রয়টার্সের।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জোটের দেশগুলোর মধ্যে বিবাদ থাকলেও সম্মেলনের শুরুতে আয়োজক ইন্দেোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো সকলকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অন্য কোনো উপায় নেই। বিশ্বকে বাঁচাতে সহযোগিতা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেছেন, অর্থনৈতিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে জি-২০ জোটকে অবশ্যই প্রভাবক হতে হবে। বিশ্বকে ভাগ করা ঠিক হবে না। বিশ্বকে আরেকটি স্নায়ু যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া যাবে না।’
জি-২০ জোটে রয়েছে ব্রাজিল থেকে ভারত, সৌদি আরব ও জার্মানির মতো দেশগুলো। বিশ্বের মোট জিডিপির ৮০ ভাগ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭৫ ভাগ এবং বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ ভাগই এ দেশগুলোর।
এদিকে সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে সোমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। যা একটি ইতিবাচক দিক।
২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এবারই প্রথমবারের মতো শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করলেন বাইডেন। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা দেখা দিলেও বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে জোরদার আরোপ করেন বাইডেন-শি।
এবারের সম্মেলনে যোগ দেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার বদলে এসেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। সোমবার বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছিল, হার্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু পরবর্তীতে এ খবর উড়িয়ে দেন ল্যাভরভ।
অন্যদিকে জি-২০ জোটের সদস্য না হলেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে সম্মেলনে উপস্থিত হতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আয়োজক ইন্দোনেশিয়া। জানা গেছে, ভিডিও কলের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য রাখেন জেলেনস্কি।
সম্মেলনের আগে রাশিয়াকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছিল বেশ কয়েকটি দেশ। কিন্তু আয়োজক ইন্দোনেশিয়া এতে সাড়া দেয়নি। তাছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার সমালোচনা করা থেকেও বিরত থাকার কথা জানিয়েছে দেশটি।
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়েছিলেন, এবারের সম্মেলন অধিকাংশ দেশ রাশিয়ার সমালোচনায় মুখর থাকবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন নিয়ে কোনো ছাড় দেবেন না প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এমআই