আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরান থেকে ইয়েমেনে অস্ত্র পাচারের সময় একটি জলযান ডুবিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর তরফ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ওমান উপসাগর দিয়ে জলযানটি ইরান থেকে ইয়েমেনে অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিল। এসব অস্ত্র ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। মার্কিন হামলায় ব্যাপক পরিমাণ বিস্ফোরক ধ্বংস হয়ে গেছে। এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।
খবরে জানানো হয়, ওই নৌকায় ৭০ টনেরও বেশি আমোনিয়াম পারক্লোরেট ছিল। এগুলো রকেট ও মিসাইলের জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি এ দিয়ে বিস্ফোরকও তৈরি করা যায়। সৌদি আরবের নেতৃত্বে থাকা আরব জোট ২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনে যুদ্ধ করছে। তারা ইয়েমেনের হুতিদের হটিয়ে নিজেদের শাসককে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা করছে।
তবে হুতিদের পক্ষে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছে ইরান। শিয়াপন্থী যোদ্ধা গোষ্ঠীটিকে সামরিকভাবে ব্যাপক সহায়তা করে তেহরান। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে দেশটি। তবে হুতিরা প্রায়ই সৌদি আরবের অভ্যন্তরে মিসাইল ও রকেট হামলা চালায়। সৌদি আরবের দাবি, ইরানের সহায়তা ছাড়া এ ধরণের হামলা চালানো সম্ভব নয়। সৌদির দাবিকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রও। ইরানি অস্ত্র বোঝাই নৌকা ডুবিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে মার্কিন নৌবাহিনীর ভাইস এডমিরাল ব্রাড কুপার বলেন, ওই নৌকায় এত জ্বালানি ছিল যে তা দিয়ে এক ডজনেরও বেশি মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া সম্ভব। ইরান এভাবেই অবৈধভাবে ভয়ানক অস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের চোখ এড়াতে পারেনি। ইরানের এমন আচরণ দায়িত্বজ্ঞানহীন, ভয়ানক এবং মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
এখন পর্যন্ত ইরানের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। জানা গেছে, ওই নৌকায় চার ইয়েমেনি ক্রু সদস্য ছিল। এছাড়া প্রায় ১০০ টন ইউরিয়া সাড়ও ছিল এতে। এই ইউরিয়া সাধারণত কৃষি কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে একইসঙ্গে এগুলো বিস্ফোরক তৈরিতেও কাজে লাগে। ওই নৌকায় হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এতে থাকা ক্রুদের ইয়েমেনের কোস্ট গার্ডের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে মার্কিন নৌবাহিনী অ্যাসল্ট রাইফেল এবং গুলিবাহী একটি জলযান আটক করে। দেশটির দাবি, এই অস্ত্রও ইরানে তৈরি এবং হুতিদের জন্য পাঠানো হচ্ছিল।
এমআই