এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ সুপার সাইক্লোন সিডরের পরবর্তী উপকূলীয় বাগেরহাট বাসির দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ। কিন্তু বেড়িবাধঁ নির্মিত হলেও অপরিকল্পিত স্লুইস গেট নির্মানের ফলে মানুষের এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত আশ্রায়কেন্দ্র ও পরিকল্পিত স্লুইস গেট র্নিমানের দাবী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসি।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের জলোচ্ছ্বাসে বলেশ্বর নদী সংলগ্ন শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার নারী পুরুষ ও শিশুসহ শত শত মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সিডরের পর থেকেই টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবী তোলে এলাকবাসি। পরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কোস্টাল ইমব্যাংকমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (সিইআইপি) আওতায় ৩৫/১ পোল্ডারে ৬২ কিলোমিটার টেকসই বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেই ভেড়িবাধেঁর প্রায় শতভাগ নির্মান কাজ শেষের পথে। তবে বেড়িবাধে অপরিকল্পিত স্লুইস গেট নির্মাণের ফলে বর্ষার মৌসুমে বাধের ভিতরে মাসের পর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।ফলে ফসলহানীসহ নানা দূর্ভোগ পোহাতে হয়। নতুন করে বলেশ্বর নদীর ভাঙ্গ দেখা দেয়। মানুষের এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নদী শাসন করে টেকসই ভেড়িবাধঁ নির্মাণের দাবি করেন তারা। এছাড়া সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পর্যাপ্ত ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, পরিকল্পিত স্লুইস গেট নির্মাণে দাবি স্থানীদের।
ঘূর্ণিঝড় সিডরের জলোচ্ছ্বাসে উপকুলীয় জেলা বাগেরহাটে ৯০৮ জনের প্রাণহানি ঘটে। ঘূনিঝড়ে দেড় লক্ষাধিক জেলার বাড়িঘর, গাছপালা ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এমআই