মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বসতঘর ভাংচুর করে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ করার অভিযোগে মোঃ রফিক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আপন বড় ভাই আবদুল বারেক। উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের কাপড়চতলী গ্রামে বারেক আলু ব্যাপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আবদুল বারেকের পিতার মৃত্যুবরণের পর তাঁর রেখে যাওয়া সম্পত্তি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ভাগ-বাটোয়ারা হয়। তখন থেকে সবাই প্রাপ্য জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্তু বারেকের ছোট ভাই মোঃ রফিক নানা ধরনের অজুহাত তুলে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি করে অশাস্তি সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। প্রতিবাদ করলেই রফিক অন্যদেরকে নানাভাবে হয়রানী ও জোর-জুলুম করে। পেশী শক্তি ব্যবহার করে বয়োবৃদ্ধ আবদুল বারেকের সম্পত্তির বেশকিছু অংশ রফিক নিজেই জবর দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছে।
এরই অংশ হিসেবে রফিক বেশ কয়েক বার আবদুল বারেকের বসতঘর ভাংচুর করে অন্যায়ভাবে দেয়াল নির্মাণ করার অপচেষ্টা করে। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের জানিয়ে একাধিকবার সালিশের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার নভেম্বর রফিক ও পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আবদুল বারেকের মালিকানাধীন সম্পত্তিতে থাকা টিনের বসতঘর ভাংচুর ও ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক পাকা দেয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করে।
পরদিন বুধবার বারেক আসরের নামাজ শেষে মসজিদের মুসল্লিরাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে রফিকের উদ্যোগে দেয়াল নির্মাণের বিষয়টি অবহিত করে। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে রফিক তাঁর বড় ভাই আবদুল বারেককে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ ও কিল-ঘুষি মারাসহ লাঞ্চিত করে। এক পর্যায়ে সে বারেকের গলাটিপে শ্বাসরোধে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে।
অভিযোগের ব্যাপারে মোঃ রফিক বলেন, ‘বারেকের অভিযোগ সত্য নয়। গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে সার্ভেয়ার জায়গা মেপে দেয়ার পর দেয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করি’।
সময় জার্নাল/এলআর