এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাট মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সেই ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক নাজমুন নাহারকে অবশেষে প্রত্যাহার করেছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার বিকালে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে অফিস আদেশে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক মনোয়ারা ইসরাত স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে। আদেশে বলা হয়েছে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাহেলা পারভীনকে উপ-পরিচালক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বাগেরহাট এ অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
উপ-পরিচালক নাজমুন নাহারের প্রত্যাহারের খবর বাগেরহাটে পৌছানোর পর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অনেকে হাফছেড়ে বেছেছে। নাম প্রকাশে এক এনজিও কর্মকর্তা জানান, আমরা বোধহয় দুর্নীতিগ্রস্থ অফিসারের হাত থেকে রক্ষা পেলাম। মঙ্গলবার ও দুই হাজার টাকা দিয়েছি এক প্রত্যয়ন আনার জন্য। একই প্রত্যায়ন উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা ফ্রি দিয়েছে।
প্রশিক্ষক লায়লা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ষ্টাটাসে বলেছে আজ ও আমি সহ আমার প্রশিক্ষনার্থীদের অফিস থেকে পানি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এবিষয় লায়লা মুঠোফোনে জানান, প্রতিদিনের মত আমরা পানি খাই অফিসের টাকায়। আজ অফিস থেকে আমাকে জানান, হয়েছে উপ পরিচালক নাজমুন নাহার ম্যাডাম পানি দিতে বারন করেছে। এরকম নির্যাতন আমাদের উপর করছে। এক প্রশ্নের জবাবে লায়লা জানান, আমি এ ডিসি স্যারের কাছে ওনাদের অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়গুলি বলেছি। তদন্ত কমিটি আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এর জেরধরে আমাদের পানি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
উলেখ্য, গত ২ নভেম্বর থেকে ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন পত্রিকায় বাগেরহাট মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার ও অফিস সহকারী পতিত পবন রায়ের অনিয়ম, দুর্নিতীর খবর প্রকাশিত হওয়ার পর গত ১৫ নভেম্বর অফিস সহকারী পতিত পবন রায় কে খুলনার দাকোপ উপজেলা মাহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে বদলী করা হয়। তার একদিন পর বৃহস্পতিবার বাগেরহাট মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক নাজমুন নাহার কে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সচেতন মহল বলছে, অনিয়ম, দূর্নীতির শাস্তি শুধু বদলী ? এরা যেখানে যাবে সেখানে-ই পবন ও নাজমুন রা এরকম অনিয়ম, দুর্নীতি করবে?।
সময় জার্নাল/এলআর