বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা নিল পুলিশ, তদন্তে এডিসি-এএসপি

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২২
হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা নিল পুলিশ, তদন্তে এডিসি-এএসপি

শাহিনুর ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নতিভুক্ত করেছেন পুলিশ।

আদালতের নির্দেশে ঘটনার ১১দিন পর অবশেষে মামলা হিসেবে গ্রহণ করলো হাতীবান্ধা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। ওই কমিটি গত বৃহস্পতিবার থেকে তদন্ত শুরু করেছেন।

পুলিশ ও আদালত সুত্রে জানা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন ও ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের মধ্যে গত ৭ নভেম্বর উপজেলা পরিষদের ভিতরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, মারধর ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার দাবি করেন, টিআর, কবিখা-কাবিটা কাজের বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে অফিস থেকে বের করে দেয়। পরে তার লোকজন তাকে মারধর করে ও তার অফিসে হামলা চালায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে এডিপি’র নারী ফান্ডে একটি প্রকল্পের হিসাব চাওয়ায় তাকে ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ও তার স্বামী অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারমুখী আচারণ করেন।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতে জেসমিন নাহার বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনসহ ৮ জনকে আসামি করে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ১৪ নভেম্বর ১২ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ২ ভাইস চেয়ারম্যানও উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।

এ ঘটনার ১০ দিনেও ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না করায় বৃহস্পতিবার আদালতের আশ্রয় নেয় জেসমিন নাহার। ১২ জনকে আসামি করে লালমনিরহাট বিজ্ঞ জুডিসিয়াল আদালত ৪-এ একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত ওই অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে হাতীবান্ধা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ পেয়ে রাতেই অভিযোগটি নথিভুক্ত করেন হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।

এ দিকে এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে তদন্ত করেন জেলা প্রশাসক গঠিত তদন্ত কমিটি। ওই কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম হাতীবান্ধায় এসে উপজেলা চেয়ারম্যান, দুই ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম জানান, আদালতের নির্দেশ পাওয়া মাত্র আমরা এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ইতোমধ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। ওই কমিটি গত বৃহস্পতিবার থেকে তদন্ত শুরু করেছেন। পুরো বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল