সাইফুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জানান টুটুলকে চাকরি থেকে অপসারণের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর আগে সকাল ১০টায় প্রকৌশল অফিসে ভাংচুর ও তালা দেন তারা।
এরআগে গত ১৫ নভেম্বর সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের সাথে এক ছাত্রীর কথোপকথনের ৬ মিনিট ২১ সেকেন্ড এর একটি আপত্তিকর অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। অডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
সেই অডিও ফাঁসকে কে কেন্দ্র করে আজ সকাল ১০টায় প্রকৌশল অফিসে অবস্থান নেয় একদল শিক্ষার্থী। সেখানে তারা টুটুলকে না পেয়ে ইবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহিদ উদ্দিন মো. তারেকের সাথে টুটুলের বিষয়ে কথা বলেন। কথার এক পর্যায়ে অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করেন। এ সময় ৩০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। এরপর প্রকৌশল অফিসে তালা দেন তারা। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন প্রকৌশলী শহীদ উদ্দিন মো: তারেক। প্রায় দেড় ঘন্টা অবরুদ্ধ রাখার পর তালা খুলে দেওয়া হয়।
এরপর সেখান থেকে বের হয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। বিক্ষোভ শেষে সাড়ে ১১টায় টুটুলের বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জানান টুটুলের নামে ৬ মিনিট ২১ সেকেন্ডের আপত্তিকর অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যা বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী যারা দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন তাদেরকে বিব্রত করেছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্ট করেছে। উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৩ সালে কুষ্টিয়ায় এক শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের গোপন ভিড়িও ধারণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হলে গ্রেপ্তার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হন। নৈতিক স্খলনে অভিযুক্ত ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পবিত্র জায়গায় চাকরি করার যোগ্যতা রাখে না।
টুটুলের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী যে কাজটি করেছেন, তা গ্রহনযোগ্য নয়। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
সময় জার্নাল/এলআর