আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশে আঘাত হেনেছে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প। এতে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় এক মুখপাত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে ইন্দোনেশিয়ায় আঘাত হানে এ ভূকম্পন। তবে এর জেরে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্যমতে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সিয়ানজুর এলাকা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
সিয়ানজুর প্রশাসনের মুখপাত্র অ্যাডাম বলেন, এখানে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। শত শত, হয়তো কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে হারমান সুহেরম্যান নামে স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা নিউজ চ্যানেল মেট্রো টিভিকে বলেন, ভূমিকম্পের আঘাতে ২০ জন মারা গেছেন এবং অন্তত ৩০০ জন আহত হয়েছেন। তবে এটি মাত্র একটি হাসপাতালের তথ্য। সিয়ানজুরে চারটি হাসপাতাল রয়েছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তবে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে।
তথাকথিত ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির সুমাত্রা দ্বীপে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১০ জন।
গত আগস্টের শেষের দিকে মাত্র দুদিনে তিনবার ভূমিকম্পে কাঁপে দ্বীপটি। গত ২৯ আগস্ট সুমাত্রায় আঘাত হানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প। এর কয়েক ঘণ্টা আগে সেখানে আঘাত হানে ৫ দশমিক ২ মাত্রা ও ৫ দশমিক ৪ মাত্রার আরও দুটি ভূমিকম্প।
গত ২২ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার ডেনপাসার এলাকায় আঘাত হেনেছিল ৫ দশমিক ৫ মাত্রার এক ভূমিকম্প। এর পরেরদিন সুমাত্রা দ্বীপে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প।
২০০৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার পাডাং এলাকায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ১ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
সময় জার্নাল/এলআর