সময় জার্নাল ডেস্ক:
সিজেএম আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিতে প্রায় সাত মাস আগে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অনলাইন থেকে মোটরসাইকেল কেনেন তাদের সহযোগীরা। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার সকাল থেকেই ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকায় অবস্থান নেয় ১০-১২ জনের একটি দল। যারা সবাই আনসার আল ইসলামের সদস্য।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েই রোববার (২০ নভেম্বর) আদালত এলাকায় উপস্থিত হন সহযোগীরা। এতে সরাসরি নেতৃত্ব দেন আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭) নামে আনসার আল ইসলামের এক নেতা।
রিমান্ডে থাকা আরাফাত ও সবুরকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এসব কথা জানায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় যে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে চলছে অভিযান।
এর আগে রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তারা হলেন মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল।
সূত্রটি আরও জানায়, দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তাদের সহযোগীরা ঘটনাস্থলে একটি মোটরসাইকেল ফেলে যান। হরনেট ব্র্যান্ডের ওই মোটরসাইকেলটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর-ঢাকা মেট্রো-ল-৩১-৫৭১০। এরইমধ্যে মোটরসাইকেলের মালিক হাসান আল মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সিটিটিসির কর্মকর্তাদের হাসান জানান, চলতি বছরের মে মাসে বিক্রয় ডটকমের মাধ্যমে তিনি মোটরসাইকেলটি বিক্রি করেন। ক্রেতা তাকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রও দিয়েছিলেন। ওই পরিচয়পত্রের অনুলিপিতে আতিকুজ্জামান নাম লেখা ছিল।
সিটিটিসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, আনসার আল ইসলামের আসকারি বা সামরিক শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আয়মান। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে। তিনি ২০১৬ সালে সরকারি কর্ম কমিশনের রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ঘর ছাড়েন।
সময় জার্নাল/এলআর