মাহমুদা আক্তার:
দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে গ্র্যাজুয়েট হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী। নানান জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই শুরু হয় নিজেকে সমাজের উচ্চ আসনে আদিষ্ট করার যুদ্ধ। প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীই জীবনের প্রথম থেকেই সফলতার বীজ বুনে চলে। ভবিষ্যতে কি করতে চান? বা কোন অবস্থানে নিজেকে দেখতে চান? সব কিছুই যেন মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। আর তারা যদি হয় মেয়ে তবে তাদের পথটা যেন কঠিন। তেমনি সরকারি তিতুমীর কলেজে সদ্য গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা কি ভাবছেন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে, কতটুকু প্রস্তুতি রয়েছে নতুন জীবনের জন্য?
সুবর্ণা আক্তার, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
আসলে আমরা সবাই এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করি। বলা চলে ছাত্রজীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। পুরো পথ যে সহজ ছিল এরকম না, অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে অনেক সময় পিছিয়ে গিয়েছি, ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। ইচ্ছা আছে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার, ওভাবেই নিজেকে তৈরি করছি , বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।
নাসরিন রঙ্গনা, ইংরেজি বিভাগ
গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পরের অনুভূতি টা আসলে অন্যরকম! যেটা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবায়। ভবিষ্যতে যে অবস্থানে দেখতে চাই নিজেকে তার প্রেক্ষিতে তৈরি করব । আসলে আমরা সব সময় যেটা ভাবি সেটা নাও হতে পারে। কিন্তু আমাদের টার্গেট রাখা উচিত । আসলে লাইফে ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে,জানিনা কতটুকু হবে কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জুনিয়রদের নিয়ে এটুকুই বলব, তারা যেন সময়কে মূল্য দিয়ে নিজেকে তৈরি করে। ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার উদ্যোগ নেওয়ার মনোবল তৈরি করে ও ভালো কিছু করো।
পারভীন মিলি, ব্যবস্থাপনা বিভাগ
এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করেছে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর। ভবিষ্য পরিকল্পনা বলতে বর্তমানে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছি এবং বিসিএস এর প্রস্তুতি নিচ্ছি।পড়াশোনার বাহিরে প্রথম বর্ষে শিক্ষকতা করেছি একটা স্কুলে। তৃতীয় বর্ষে উঠার পর পড়াশোনার জন্য ছেড়ে দিতে হয়। এখন নিজস্ব একটা কোচিং আছে সেখানে নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পড়াই। বর্তমানে কনফিডেন্স বিসিএস কোচিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত এবং আইইএলটিএস এর প্রস্তুতি চলছে। এখান থেকে মাস্টার্স শেষ হলে, বাহিরের জন্য আবেদন করব। যদি হয় স্কলারশিপ নেওয়ার চেষ্টা করব। আর যদি না হয় তাহলে সরকারি চাকরিতেই যাব।
তানজিনা আইরিন, গণিত বিভাগ
গ্র্যাজুয়েট হওয়ার অনুভূতি আসলে বলে প্রকাশ করা যায় না। মাস্টার্সে ভর্তি হলাম। এটা শেষ হলে ইনশাআল্লাহ আইইএলটিএস করে জার্মান যাওয়ার ইচ্ছে আছে। বর্তমানে টিউশন করছি আগে একটা চাকরিতে ছিলাম। চাকরি আর পড়াশোনা একসাথে হয় না তাই চাকরি ছেড়ে দেওয়া। কম্পিউটার কোর্স সহ অন্যান্য কোর্স করছি। দেশে অনেকেই চাকরি ও ব্যবসা করছে আরো করবে তবে দেশের পরিস্থিতি সবাই জানে । অল্প পরিশ্রমে বাহিরে অনেক কিছু করতে পারি । যেমন চার - ছয় বছরে আমরা যা শিখতে পেরেছি বিদেশে এগুলো বিস্তারিত শিখা যায় দুই বছরে। দেশের জনগনের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা এবং দেশের জন্য গৌরব অর্জন করব।
এমআই