আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সেপ্টেম্বরের ভয়াবহ বন্যার ‘ক্ষত’ এখনও শুকায়নি। পাশাপাশি প্রবল আর্থিক সংকটে বিধ্বস্ত পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণও কমছে দ্রুত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকেও মেলেনি সাহায্যের আশ্বাস। ফলে অর্থের জোগানে সন্ধানে এখন হন্যে পাকিস্তান।
দু’সপ্তাহ আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আর্থিক সংকটে বিধ্বস্ত ইসলামাবাদের জন্য ৯০০ কোটি ডলার সাহায্যের ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানকে আর্থিক সংকট থেকে মুক্ত করতে বেইজিং সর্বতোভাবে সাহায্য করবে।
কিন্তু চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ৭২ কোটি ৬০ লাখ ডলার থেকে কমে ৩৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
পাক স্টেট ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত চার মাসে চীন থেকে বিনিয়োগ এসেছে মাত্র ৭ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। বস্তুত, গত দু’বছর ধরে পাকিস্তানে চীনা বিনিয়োগ ক্রমশ কমছে বলেও জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে।
পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, অবিলম্বে বড় অঙ্কের বিদেশি বিনিয়োগ আনা সম্ভব না হলে শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়া দেশে পরিণত হবে পাকিস্তান।
যদিও পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আসান ইকবাল এমন সম্ভাবনার কথা প্রত্যাখান করেছেন। তিনি বলেন, দেউলিয়া হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। কিছু আর্থিক সমস্যা থাকলেও তা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে। দেশের আর্থিক সংকট নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল।
সময় জার্নাল/এলআর