এম. পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি স-মিলের মালিকানাধীন জমি নিয়ে জেলা বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৪ জনকে বিবাদী করে বুধবার মামলা দায়ের করেছেন মিল মালিক আবুল বাশার শেখ ( মামলা নং-দেওয়ানি ৩৮৮/২০২২)।
এ মামলায় বিবাদী করা হয়েছে জেলা প্রশাসক, মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মোরেলগঞ্জ ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে। বিজ্ঞ আদালত বিবাদীগনকে আগামী ২১ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য আদেশ প্রদান করেছেন।
মামলার বিবরনে জানাগেছে, উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়নের মঙ্গলেরহাট এলাকার “জনতা রাইস এন্ড স-মিল” মালিক মো. আবুল বাশার শেখ পুটিখালী মৌজার এসএ ৩৫৩ খতিয়ানে ১৪৫১, ১৪৫২ ও ১৪৫৩ দাগের বিআরএস ৩৪৫২ দাগের ০.৫২ একর জমি গত ১৫.১০.২০১২ ইং তারিখে ৫৭৭১ নং দলিলে ইসাহাক আলী হাওলাদারের কাছ থেকে ক্রয় করে শান্তিপ্রিয়ভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। উক্ত জমির একটি অংশে তিনি স-মিল স্থাপন করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। গত ১৩ নভেম্বের উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে জমির মালিক এ মামলার বাদী আবুল বাশারের অনুপস্থিততে জমি পরিমাপ করে লাল নিশান টানিয়ে দেয়। এবং তার স-মিলটি সরিয়ে নেয়ার জন্য বলে। কারণ তার স’মিলটি চরের সরকারি জমিতে স্থাপিত।
পরের দিন জমির মালিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে স্বাক্ষাত করে তার জমি সিএস রেকর্ডীয় দাগে রয়েছে। যা বিআরএস ৩৪৫২ দাগে পূর্বের মালিক ইসাহাক আলী হাওলাদারের নামে ৭৯৩ নং খতিয়ানে রেকর্ড হয়। সরকারি জমি ও তার ক্রয়কৃত জমি সঠিক সিমানা নির্ধারনের জন্য তিনি জমিটি পুনরায় পরিমাপের জন্য অনরোধ সত্ত্বেও নির্বাহী কর্মকর্তা সে বিষয় কর্নপাত না করে তার মিলটি সরিয়ে নিতে বলেন এবং বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
এ ঘটনার পরপরই জমির মালিক আবুল বাশার শেখ বাগেরহাট বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সার্ভেয়ারকে বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে বিবাদী গনের বিরুদ্ধে তফসিল বর্নিত জমিতে মামলা চলাকালিন কেন অস্থায়ী ও অর্ন্তবর্তীকালিন নিশেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা হবে না তা অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ২১ দিনের মধ্যে বিবাদী পক্ষকে কারণ দর্শানোর জন্য আদেশ প্রদান করে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুটিখালী মঙ্গলেরহাট এলাকায় এসএ রেকর্ড অনুযায়ী উক্ত স-মিলের জমিতে পূর্বে খাল ছিলো। খালটি ভরাট করে বে-দখল করে নিয়েছে, খালের জমি কখনও মালিকানাধীন হতে পারে না। বিআরএস রেকর্ড কর্তন করা হবে।
সময় জার্নাল/এলআর