স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রেমিকার বাবাকে পটাতে কী করবেন আপনি? হবু শ্বশুরকে মুগ্ধ করার চেষ্টা, নাকি তার সামনে নিজের গুণ প্রদর্শন? দুটো কাজই খুব ভালোভাবে করেছেন ফেরান তোরেস। প্রেমিকা এবং তার বাবার উপস্থিতিতে বিশ্বকাপে গোল করেছেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড!
বিশ্বকাপে বিধ্বংসী সূচনা করেছে স্পেন। বুধবার রাতে কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে কোস্টারিকাকে হারিয়েছে ৭-০ গোলে। দলের দুর্দান্ত জয়ে জোড়া গোলে বিশ্বকাপ অভিষেক রাঙিয়েছেন ফেরান তোরেস। তরুণ তারকার নৈপুণ্য স্টেডিয়ামে বসে দেখেছেন প্রেমিকা সিরা মার্টিনেজ এবং তার বাবা কোচ লুইস এনরিকে। হ্যাঁ, নিজ কোচের মেয়ের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক তরেসের।
গত জানুয়ারিতে ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগ দেন তোরেস। স্প্যানিশ তরুণকে ভেড়াতে ৫ কোটি ইউরো খরচ করে ব্লাউগ্রানারা। তখন খবর ছড়ায় সিরা মার্টিনেজের জন্যই স্পেনে ফিরেছেন তোরেস। এর কয়দিন পরই ইনস্টাগ্রামে জাতীয় দলের এনরিকের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের ঘোষণা দেন তিনি।
শিষ্য তোরেসের সঙ্গে মেয়ে সিরার সম্পর্কের কথা জানেন এনরিকে। সপ্তাহখানেক আগে সংবাদ সম্মেলনে স্পেন কোচকে তোরেসের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে একাদশে থাকার সম্ভাবনা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়।
এনরিকে মজার ছলে উত্তর দেন, ‘অন্যথায় (একাদশে না রাখলে) আমার মেয়ে আমার মাথা কেটে ফেলবে।’
এনরিকের হাস্যরস নিয়ে তরেস বলেন, ‘আমি এটাকে প্রেশার হিসেবে নিচ্ছি না। আমরা জানি কোচ খুব মজার মানুষ। সবসময় কৌতুক করতে পছন্দ করেন তিনি।’
জাতীয় দলে থাকার সময় এনরিকে এবং তরেসের সম্পর্কটা কেমন থাকে? তরেস বলেন, ‘আমি এবং কোচ উভয় পরিবার এবং জাতীয় দলের পার্থক্য জানি। আমরা খুব স্বাভাবিকই থাকি। তার অধীনে কাজ করতে ভালো অনুভব করি আমি।’
এমআই