আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বুধবার (৩০ নভেম্বর)। শেনঝাউ–১৫ নভোযানে করে নিজেদের মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগংয়ে পৌঁছালেন তারা। সেখানে ছয় মাস থাকবেন এই তিন নভোচারী।
নাসার নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পরে এটি হবে দ্বিতীয় স্থায়ীভাবে বসবাসকারী মহাকাশ কেন্দ্র যা থেকে চীনকে ২০১১ সালে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নভোযান শেনঝাউ-১৫ চীনের উত্তর পশ্চিমের গোবি মরুভূমির জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করে। এই মহাকাশ স্টেশনটি প্রায় এক দশক ধরে কাজ করবে এবং প্রায় শূন্য মাধ্যাকর্ষণে পরীক্ষা চালাবে বলে জানা গেছে।
চায়না ম্যানড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের একজন মুখপাত্র বলেন, নতুন নভোচারীরা স্টেশনের চারপাশে সরঞ্জাম স্থাপনের কাজ করবেন। বছরের শেষ নাগাদ নির্মাণকাজ শেষ হবে এটির।
চীনের মহাকাশ গবেষণা ও অভিযানে সাফল্য হিসেবে এর আগে মঙ্গল গ্রহ ও চাঁদে রোবোটিক রোভার অবতরণ করে এবং বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে কক্ষপথে নভোচারী পাঠালো তারা।
শেনঝাউ-১৫ মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৫৭ বছর বয়সী ফেই জানলং। তিনি ২০০৫ সালে শেনঝাউ-৬ মিশনের নেতৃত্ব দেন। তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশন চালু হলে, প্রতি বছর দুবার করে সেখানে নভোচারী পাঠাতে পারবে চীন।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ক্রিশ্চিয়ান ফেইচতিঙ্গার চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভিকে বলেন, ‘বিশ্ব আসলে চীনের ক্রমবর্ধমান মহাকাশ সক্ষমতা দেখছে।'
চীনের এই মিশন নিয়ে দেশটির নাগরিকরা উচ্ছ্বসিত। চলমান কোভিড লকডাউন ও বিক্ষোভের জেরে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলেও অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন ‘মাতৃভূমি দীর্ঘজীবী হোক।’
চীন ম্যাকাও ও হংকং এর মতো ‘বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল’ থেকে আবেদনকারীদের ভবিষ্যত মিশনে যেতে মহাকাশচারী নির্বাচন প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে মহাকাশ গবেষণায় বেশ সাফল্যের খবর জানাচ্ছে চীন। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে পাথর ও মাটি পৃথিবীতে এনেছে চীনের মহাকাশযান।
সময় জার্নাল/এলআর