মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর: ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার-বীমা হোক সবার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুরে দ্বিতীয় জাতীয় বীমা দিবস-২০২১ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১ মার্চ) বেলা ১১টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আসলাম উদ্দীন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দিনাজপুর সার্ভিস সেন্টার ইনচার্জ কাজী মোঃ ইসরাফিল, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড’র জেলা ম্যানেজার আয়েশা খাতুন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জীবন বীমা কর্রপোরেশন দিনাজপুরের ডেপুটি ম্যানেজার মোঃ নবীউল করিম ও বীমার উপর একটি বিশেষ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জীবন বীমা কর্রপোরেশন দিনাজপুরের ম্যানেজার নুর মোহাম্মদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (গোপনীয় শাখা) এবিএম শরিফ।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি বলেন, দ্রুত সময়ে দাবী নিষ্পত্তির ব্যাপারে বীমা কোম্পানীগুলোকে আরো স্বচ্ছ ভুমিকা পালন করতে হবে। শুধু বীমা নয়, সকল ক্ষেত্রে নৈতিকতা আনতে হবে। কোন অবস্থাতেই কোন গ্রাহককে হয়রানী করা যাবে না। একজন গ্রাহক যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁর অর্পিত অর্থ ফেরত পায় সে ব্যাপারে প্রতিটি বীমা কোম্পানীকে আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি। অন্যান্য বক্তারা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বীমার কোন বিকল্প নেই। বীমার সঠিত তথ্য সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। তাহলে মানুষ বীমাগ্রহণে বেশী উদ্বুদ্ধ হবে। পাশাপাশি বীমা কোম্পানীগুলোকে নৈতিকতার সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে বীমা দাবী নিষ্পত্তিতে আরো বেশী যতœশীল হওয়ার পরামর্শ দেন বক্তারা।
এদিকে ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস-২০২১ ও সেবা পক্ষ-২০২১ (১ থেকে ১৭ মার্চ) উপলক্ষে ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড দিনাজপুর সার্ভিস সেন্টারের উদ্যোগে চারুবাবুর মোড়স্থ কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কোম্পানীর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দিনাজপুর সার্ভিস সেন্টার ইনচার্জ কাজী মোঃ ইসরাফিলসহ সার্ভিস সেন্টারে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে ৩২টি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী ও ৪৬টি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীসহ সর্বমোট ৭৮টি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী রয়েছে।