সময় জার্নাল ডেস্ক : ২১ শে এপ্রিল সামরিক মহড়ার ড্রিলের নির্দিষ্ট সময় পর রিপোর্টিং এ ব্যর্থ হওয়ার পর সাবমেরিনটির খোজে জরুরী ভিত্তিতে সার্চ এবং রেস্কিউ অপারেশন শুরু করে ইন্দোনেশীয় নেভী।
তবে, এখন পর্যন্ত ১৯৭৮ সালে সংগৃহিত সাবমেরিনটি এবং এর ৫৩ জন ক্রু এর ভাগ্যে কি ঘটেছে এখনো জানা যায়নি। তবে ধারনা করা হচ্ছে, হয়ত সাবমেরিনটি খুজে পাওয়ার আগে সম্পূর্ণ ক্রু মেম্বারদের জীবনের সলিল সমাধি ঘটে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, জার্মান নির্মিত এ সাবমেরিনটিকে এখন সনাক্ত করা, খুজে বের করা এবং ক্রুদের জীবিত উদ্ধার করাটুকুই সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ।
মহড়ায় ব্যবহৃত কোন টর্পেডো যদি ভুল বশত ডেটোনেট হয়ে যায় তবে হয়তবা সাবমেরিনের ক্রু'রা ওয়াটার সিল চেম্বারগুলো বন্ধ করবার সুযোগটুকুও পাননি।
যদি কোন ক্রু বেচেও থাকেন তবে দ্রুত উদ্ধার কার্য সমাধা করা না গেলে তাদের বাচার সম্ভাবনা ও কমতে থাকবে।
অথবা, এমনো হতে পারে ইলেকট্রিকাল এবং মেক্যানিকাল সমস্যার জন্য সাবমেরিনটির খোজ পাওয়া যাচ্ছে না, যদিও তার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীন।
ইন্দোনেশীয় টাইপ ২০৯/১৩০০ সাবমেরিনটির কপালে কি ঘটেছে তা জানা না গেলেও বাংলাদেশ নেভীর বহরে মোতায়েনকৃত, চীন থেকে সংযোজিত টাইপ-৩৫ জি মিং ক্লাস দুটি সাবমেরিনের জন্য এখনো কোন সাবমেরিন রেস্কিউ শীপ কেনা সম্পন্ন হয়নি।
যদিও চীন থেকে একটি সাবমেরিন রেস্কিউ শীপ কেনার কথাবার্তা চলার কথা শোনা গিয়েছিল। তবে এর পর তেমন কোন অগ্রগতি হয়েছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বাংলাদেশের টাইপ-৩৫ জি তে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তার উদ্ধারে পার্শ্ববর্তী দেশ যেমন-ভারত, চীন, কোরিয়া বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর সহযোগিতা নেয়া ব্যতীত এখনো কোন অপশন নেই বাংলাদেশের হাতে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাব হান্টার জাহাজ থাকলে ডেডিকেটেড এন্টি সাব প্লাটফর্ম (সাব হান্টার এয়ারক্রাফট কিংবা হেলিকপ্টার) এখনো নেই। যার মানে সাবমেরিন ডিটেকশন এবং উদ্ধার করতেই হয়তবা ক্রুদের সলিল সমাধী ঘটবে।
অত্যাধুনিক সোনার দিয়েও সাগরের বুকে লুকিয়ে থাকা একটি সাবমেরিন ডিটেক্ট করা অত্যন্ত দূরুহ আর সময় সাপেক্ষ একটি বিষয়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে এ বিষয়গুলো নিয়ে আরো অগ্রণী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ছবি ক্রেডিট: আমেরিকান নৌবাহিনী আর্কাইভ।