নিজস্ব প্রতিনিধি:
পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর আজ নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে। সকালে নেতাকর্মীদের কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়নি। কার্যালয়ের মূল ফটকের বাইরে পাহারায় রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাফুলের দিকে যাওয়া এবং আসার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। কাটা তারের বেড়া দেওয়া আছে। তবে এসব রাস্তায় পরিচয়পত্র দেখিয়ে হেঁটে চলাচল করতে পারছেন পথচারীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নয়াপল্টনমুখী সবাইকে তল্লাশি করছে পুলিশ। পরিচয়পত্র দেখা হচ্ছ। জানতে চাওয়া হচ্ছে সেদিকে যাওয়ার কারণ।
এদিকে, বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে মহড়া দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও নীলক্ষেত এলাকায় ছাত্রলীগের মহড়া চোখে পড়েছে। আদালতে মিছিল করেছেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরাও।
সকালে নিজেদের মহড়ার ছবি ফেসবুকে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন লিখেছেন, বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ। আমাদের লাশের মিছিলের উপর দিয়ে, পোড়া মানুষের ভয়ার্ত চিৎকার আর রোনাজারির উপর ভর করে, জনগণকে ভয় দেখিয়ে যারা হত্যার রাজনীতি কায়েম করতে চায়, তাদের এই বাংলার মাটি থেকে মূলোৎপাটন করতে হবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গতকাল (বুধবার) সেখানে পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা ফেলা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে ককটেল বোমা উদ্ধার করেছে। এটা এখন প্লেস অব অফেনস। পুলিশের ক্রাইম সিনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হবে না।
এছাড়া রাজধানীর প্রবেশদ্বারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক পাহারা বসিয়েছে পুলিশ। সেখানে জনসাধারণকে তল্লাশি করতে দেখা গেছে।
গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় দলটির নেতাকর্মীদের। এতে মকবুল হোসেন (৪০) নামে একজন নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরও ২০ জন। সংঘর্ষের সময় টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। বিএনপির নেতাকর্মীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করে। এরপর সংঘর্ষ শেষে বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।
অভিযানে বিএনপির তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেখানে কেন্দ্রীয় প্রায় আটজন নেতা রয়েছেন।
সময় জার্নাল/এলআর