স্পোর্টস ডেস্ক:
সের বলে এখনো ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে টিকে আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে সিআরসেভেনের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে রয়েছে বয়সের ছাপ। নিজেকে হারিয়ে খোঁজা রোনালদো হয়তো পর্তুগালের হয়ে সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপটি খেলে ফেলেছেন। তাই যদি হয়, তবে বিশ্ব মঞ্চে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেলো ৫ ব্যালন ডি’অরের মালিকের। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে রোনালদোর পর্তুগাল। স্বপ্নভঙ্গের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা স্ট্যাটাস দিয়েছেন রন।
কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে ১-০ গোলের হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় পর্তুগাল। শেষ বাঁশির পর এক মুহূর্ত মাঠে দাঁড়াননি রোনালদো। কাঁদতে কাঁদতে চলে যান ড্রেসিংরুমের দিকে। শনিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় রোনালদো লিখেছেন, ‘পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ছিল আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী স্বপ্ন। সৌভাগ্যবশত আমি অনেক শিরোপা জিতেছি। কিন্তু পর্তুগালের নাম বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন।’
২০০৬ আসরে বিশ্বকাপ অভিষেক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। এরপর ২০১০, ২০১৪, ২০১৮ এবং সবশেষ কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপে খেললেন তিনি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় রোনালদো, যিনি পাঁচটি আসরের সবকটিতে গোল করেছেন। রোনালদো লিখেছেন, ‘(শিরোপা জয়) এজন্য লড়াই করেছি। এই স্বপ্নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাঁচটি বিশ্বকাপে গোল করেছি। সবসময় সেরা খেলোয়াড়দের পাশে থেকে এবং লাখ লাখ পর্তুগিজদের সমর্থন নিয়ে আমি আমার সবটুকু ঢেলে দিয়েছি। আমি কখনই লড়াই থেকে মুখ ফিরিয়ে নিইনি। কখনোই সেই স্বপ্নের হাল ছাড়িনি।’
বিশ্বকাপে পর্তুগালের সবশেষ দুই ম্যাচে শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি রোনালদোর। শেষ ষোলোর ম্যাচের পর গুঞ্জন ওঠে, একাদশে না থাকায় ক্ষোভে দল ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। রোনালদোর ভাষ্য, জাতীয় দলের জন্য তার নিবেদনের কমতি ছিল না কখনোই। তিনি লিখেছেন, ‘দুঃখজনকভাবে গতকাল (শুক্রবার) স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। মুহূর্তের উত্তেজনায় প্রতিক্রিয়া জানানো ঠিক নয়। আমি শুধু সবাইকে বলতে চাই যে, (আমাকে নিয়ে) অনেক কিছু বলা হয়েছে, নানান কিছু লেখা হয়েছে, অনেক গুঞ্জনও ছড়ানো হয়েছে, কিন্তু পর্তুগালের প্রতি আমার নিবেদন এক মুহূর্তের জন্যও পরিবর্তন হয়নি। আমি সবসময় সবার লক্ষ্যের জন্য একই লড়াইয়ে ছিলাম এবং আমি কখনই আমার সতীর্থের ও আমার দেশের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবো না।’
এমআই