মাহমুদুল হাসান, কুবি প্রতিনিধি:
প্রতিবারের মতো এবারও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২২ পালন করেছে জাগ্রত চৌরঙ্গী স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন গাজীপুর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরা।
বুধবার (১৪ই ডিসেম্বর) রাতে সংগঠনের সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ বাশারের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মোমবাতি প্রজ্বলন করে শহিদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর উপস্থিত অতিথিরা বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম(বার) বলেন, 'দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করা আমাদের দায়িত্ব। এই সংগঠনের এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। আমাদের সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। আমি দায়িত্ব পেয়ে কুমিল্লা এসেছি তিন মাসের মতো হবে। সামনের দিনে আমি এই সংগঠনের ভালো ভালো কাজগুলোর সাথে যুক্ত থাকার চেষ্টা করবো।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করা তাজউদ্দিন আহমেদের মধ্যে একটি যোগসূত্র রয়েছে। তাজউদ্দিন আহমেদ যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বস্ততার সাথে সাহায্য করেছেন সেটা এক কথায় অবিশ্বাস্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গাজীপুরের মানুষের অবদান অবিস্মরণীয়। এছাড়া স্বাধীনতার পরে সাম্রাজ্যবাদ রুখে দেয়ার জন্য তাদের অনেক বড় অবদান। আজকে যারা এখানে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে তারা দেশের প্রেক্ষাপটে বুদ্ধিজীবীদের গুরুত্ব বুঝেই এসেছেন বলে বিশ্বাস করি। এভাবেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকে মনে লালন করতে হবে। তাদের ত্যাগ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
এছাড়া এই মোমবাতি প্রজ্বলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন মজুমদার, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসির হুসেইন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সহ জাগ্রত চৌরঙ্গী স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন গাজীপুর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এমআই