মুহা: জিললুর হমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তুলে নিয়ে ১৯৭৮ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের পশ্চিম শাখার সাবেক আমীর ও কুশখালি ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল গফফাকে।
বুধবার আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে গত ২ সেপ্টেম্বর নাশকতার পরিকল্পনাকালে সদর থানার দায়েরকৃত ৭ নং বিচারাধীন মামলায় তাকে অজ্ঞাগত নামা আসামী করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল গফফার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে
আটক করা হয়েছে সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদকে। ও আব্দুল ওয়াদুদ একই উপজেলার ঘোনা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী সরদারের ছেলে।
তাদেরকে যথাক্রমে মঙ্গলবার বিকেল চারটায় কুশখালি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা ও একই দিন বিকেল ৫টায় ঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল গফফার ও আব্দুল ওয়াদুদের বিরুদ্ধে ১৯৭৮ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫(ডি) ধারা তৎসহ বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪ ও ৬ ধারার অভিযোগ রয়েছে। তাদেরকে বুধবার বিকেলে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
তবে বুধবার বিকেলে আদালত চত্বরে ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার জানান, তাকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় কুশখালি ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি কাজ করাকালিন সময়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ জানান, তাকে বুধবার ভোর তিনটার সময় তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারী তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
অপর দিকে, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা জামায়াত।
এমআই