মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
বিজয়ের ৫১ পেরিয়ে ৫২তে পা রাখলো বাংলাদেশ৷ বিজয় আর স্বাধীনতায় সংবাদকর্মীদের অবদান অস্বীকার করার নয়, সারাদেশে উৎসব মুখর পরিবেশে উপজেলা আর জেলা পর্যায়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হলেও সুবর্ণচরে রয়েছে ব্যতিক্রম।
সাংবাদিকদের অবমূল্যায়ন ও বসতে না দেয়ায় সুবর্ণচর উপজেলা প্রশাসনের সকল প্রকার সংবাদ বর্জন করেছে সুবর্ণচরে কর্মরত সাংবাদিকরা। তাদের মতে, বিজয়ের এ দিনে সুবর্ণচর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রের চতুর্থস্তম্ভ সাংবাদিকদের সাথে এমন আচরণে সত্যিই তারা বিস্মিত।
আব্দুল বারী বাবলু নামে সুবর্ণচরে কর্মরত এক সংবাদকর্মী জানিয়েছেন, সুবর্ণচর উপজেলা সাংবাদিকদের অবমূল্যায়নে মহান বিজয় দিবসে উপজেলা প্রশাসন সুবর্ণচর এর আয়োজিত অনুষ্ঠান ও সংবাদ বর্জন করেছেন তারা। তিনি আরও জানান, প্রশাসনের এমন আচরণে সাংবাদিকরা বিস্মিত।
ইউনুস শিকদার নামে আরেক সংবাদকর্মী জানিয়েছেন, সুবর্ণচরের ইউএনও চৈতি সর্ববিদ্যার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সেবা পাওয়াসহ স্বজনপ্রীতির নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের কাছে।
এছাড়াও ইমাম উদ্দিন সুমন নামে আরো এক সংবাদকর্মী জানিয়েছেন, বিজয়ের ৫১ পেরিয়ে ৫২তে পা বাড়ালো বাংলাদেশ৷ অথচ এখনো বৈষম্যের শিকার সাংবাদিকরা।বিজয়ের এ দিনে সুবর্ণচর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রের চতুর্থস্তম্ভ সাংবাদিকদের অবমূল্যয়ন করায় সুবর্ণচরের সাংবাদিকরা কলম বিরতি ও সুবর্ণচর উপজেলা প্রশাসনের সকল সংবাদ বর্জন করেছেন।
তিনি আরও জানান, এটি প্রথম নয়, এর আগে অনেক জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো একই অবস্থা এর কোন পরিবর্তন হয়নি। কখনো আসন নেই, কখনো নাস্তা নেই, কখনো সবার জন্য খাবার বরাদ্দ থাকলেও সাংবাদিকরা তা থেকে বঞ্চিত হন।
এছাড়াও সাংবাদিক আরিফ সবুজ, কামাল উদ্দিন, ইব্রাহিম খলিল শিমুল, মুজাহিদুল ইসলাম সহেল, রিদওয়ান, আরিফুর রহমান, আবুল বাসার, শাহাব উদ্দিন, হাসান আজিজসহ সুবর্ণচরে কর্মরত সকল সাংবাদিকরা বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নানা অনিয়মেরও সালতামামি করার কথা জানিয়েছেন৷
সুবর্ণচরে সাংবাদিকদের সাথে এমন আচরণে জেলার সকল সিনিয়র সাংবাদিকসহ সকল সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পোস্ট করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৈতী সর্ববিদ্যার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংবাদকর্মীদের জন্য ২টা চেয়ার বরাদ্দ থাকলেও তারা বসেনি, সংবাদকর্মীরা তৃতীয় কাতারে হলেও বসেছে এবং সে ছবি তার কাছে রয়েছে। তিনি আরও জানান, সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের এমন কেউ না যে তাদের জন্য ১ম,২য় কিংবা ৩য় কাতারে আলাদা কিছু করা হবে।
সময় জার্নাল/এলআর