সর্বশেষ সংবাদ
আন্তজার্তিক ডেস্ক:
ফিফ বিশ্বকাপ উপভোগ করতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ জড়ো হয়েছেন কাতারে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এসেছেন পশ্চিমা দেশগুলো থেকে। আর কাতারে থাকতে গিয়ে টয়লেট জেট স্প্রের ব্যবহার পশ্চিমাদের জন্য ধরা দিয়েছে সাংস্কৃতিক ধাক্কা (ইতিবাচকভাবে) হিসেবে, যা সাধারণভাবে অনেকের কাছে ‘মুসলিম শাওয়ার’ নামেও পরিচিত।
কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ উপভোগ করতে গিয়ে ধারণায় বড় পরিবর্তন এসেছে পশ্চিমাদের। তাদের অনেকেই বলছেন, কাতার বা অন্য মুসলিম দেশগুলোয় টয়লেট জেট স্প্রে ব্যবহার বা এ ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি মুগ্ধ হওয়ার মতো।
বিষয়টি সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে সুপরিচিত ইউটিউবার এবং কৌতুক অভিনেতা ডেভিড ভুজানিকের এক টুইটবার্তায়। তিনি লেখেন, ‘এক মাস ধরে কাতারে টয়লেট শাওয়ার (জেট স্প্রে) জিনিসটি ব্যবহার করছি... এরপর থেকে আমি খুবই আতঙ্কিত যে ইউকে/ইউরোপে আমরা শুধু টয়লেট পেপার ব্যবহার করি। এটি (টয়লেট জেট স্প্রে) অত্যন্ত ভালো জিনিস।’
লন্ডনে ফিরে নিজ বাড়ির টয়লেটেও এই শাওয়ার বসানোর কথা টুইটে উল্লেখ করেন ইউটিউবার ডেভিড। সঙ্গে সঙ্গেই তার টুইটটিতে নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। কেউ কেউ তাদের একই ধরনের (জেট স্প্রে ব্যবহার নিয়ে) বিস্ময়ের মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। অনেকে এ সংক্রান্ত উন্নত নানা প্রযুক্তির কথাও উল্লেখ করেছেন।
ডেভিড ভুজানিকের ওই টুইটবার্তায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেক মুসলিমও। মুসলমানরা বহু শতাব্দী ধরে টয়লেটে পানি ব্যবহার করে আসছে জানিয়ে পশ্চিমাদের ‘সভ্যতায়’ স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
এক টুইটার ব্যবহারকারী মজার ছলে ডেভিডকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করারও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওয়াশরুমে ‘শ্বেতাঙ্গদের’ পানি ব্যবহার না করার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে অন্য এক ব্যবহারকারী টুইটারে লিখেছেন, ‘কাতার বিশ্বকাপ শ্বেতাঙ্গ/ইউরোপীয়দের সভ্যতা শেখাচ্ছে।’আরেকজন কটূক্তি করে লিখেছেন, ‘অবশেষে আপনারা মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি আবিষ্কার করতে পেরেছেন। এ জন্য আমরা খুশি।’
এসএম
এ বিভাগের আরো
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল