স্পোর্টস ডেস্ক:
ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে দুটি ‘গোল্ডেন বল’ জিতলেন লিওনেল মেসি। ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে ট্রফি এনে দিতে না পারলেও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন মেসি। এবার ট্রফি জিতিয়েই শ্রেষ্ঠত্বের খেতাবটি হাতে নিলেন। সর্বোচ্চ ৮ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে।
সেরা গোলরক্ষকের খেতাব ‘গোল্ডেন গ্লাভ’ জিতেছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় এনজো ফার্নান্দেজ।
গত আসরে গোল্ডেন বল জেতেন ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদরিচ। সর্বোচ্চ ৬ গোল করা ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন পান গোল্ডেন বুট। ৪ গোল করে উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এবার মেসি, এমবাপ্পে, আলভারেজ, জিরু- চারজনেরই গোল্ডেন বুট জয়ের সুযোগ ছিল। ফাইনালে নামার আগে আর্জেন্টাইন তারকা মেসি ৫ গোলের পাশাপাশি ৩ অ্যাসিস্ট ছিল।
আর ৫ গোলের সঙ্গে এমবাপ্পের অ্যাসিস্ট ছিল দুটি। হুলিয়ান আলভারেজ ও অলিভিয়ের জিরু ৪টি করে গোল করেছিলেন। ফাইনালে মেসি করেন জোড়া গোল। এমবাপ্পে হ্যাটট্রিক।
১৯৮২ সালে ইতালির পাওলো রসিকে দিয়ে শুরু গোল্ডেন বল অ্যাওয়ার্ড। এরপর দিয়েগো ম্যারাডোনা, রোমারিও, জিনেদিন জিদানের মতো গ্রেটরা জিতেছেন এটি। কিন্তু কেউ দু’বার জিততে পারেননি। আর গোলরক্ষকদের সেরা পুরস্কার ‘গোল্ডেন গ্লাভ’ পাওয়ার দৌড়ে আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সঙ্গে ছিলেন ফ্রান্সের হুগো লরিস, ক্রোয়েশিয়ার ডমিনিক লিভাকোভিচ ও মরক্কোর ইয়াসিন বুনু। ফাইনালে ম্যাচের শেষ মিনিটে দুর্দান্ত একটি সেভ করেন মার্টিনেজ।
এরপর টাইব্রেকারে ঠেকান কিংসলে কোম্যানের শট। এর আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও টাইব্রেকারে দুটি শট ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনাকে জেতান মার্টিনেজ।
১৯৯৪ সালে ‘লেভ ইয়াসিন অ্যাওয়ার্ড’ নামে চালু হয়েছিল সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। ২০১০ থেকে নাম পাল্টে হয় গোল্ডেন গ্লাভ। সেবার স্পেনের ইকার ক্যাসিয়াস জেতেন খেতাবটি। ২০১৪তে জার্মানির ম্যানুয়েল নয়্যার ও গত আসরে সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হন বেলজিয়ামের থিবো কুর্তোয়া।
এক নজরে
চ্যাম্পিয়ন: আর্জেন্টিনা (তৃতীয় শিরোপা)
রানার্সআপ: ফ্রান্স
টুর্নামেন্ট সেরা: লিওনেল মেসি (৭ গোল ৩ অ্যাসিস্ট)
গোল্ডেন বুট: কিলিয়ান এমবাপ্পে (৮ গোল)
সেরা গোলরক্ষক: এমি মার্টিনেজ
সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়: এনজো ফার্নান্দেজ
সময় জার্নাল/এলআর