কবির আল মাহমুদ, স্পেন :
যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেন। স্থানীয় সময় রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশিদের কেন্দ্রস্থল লাভাপিয়েসের বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের হলরুমে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সংগঠনের ধর্ম সম্পাদক মোঃ জহির উদ্দিন। পরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম শুরু হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেনের সভাপতি আল মামুন। সংগঠনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান ও আবু জাফর রাসেলের যৌথ সঞ্চালনায় বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও বিজয় দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে বক্তব্য দেন প্রবীণ কমিউনিটি নেতা, বৃহত্তর বিক্রমপুর মুন্সিগঞ্জ সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান ঝন্টু, স্পেন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম সেলিম, আনজুমানে আল ইসলাহ স্পেনের সভাপতি মাওলানা আসাদুজ্জামান রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা নূর মিয়া,ভালিয়েন্তে বাংলার সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন, সাংবাদিক ফখরুদ্দিন রাজী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেনের সাংগঠনিক সম্পাদক ওহিদুজ্জামান, সদস্য আহমদ আসাদুর রহমান সাদ,সহ অর্থ সম্পাদক মোঃ নাজমুল করিম পাটোয়ারী পিয়াস, সহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক মোঃ শামীম খান বিপ্লব, সহ মহিলা সম্পাদিকা রুমি খালেদা, সহ ক্রীরা সম্পাদক কামিল আহমদ সুবেল, লুৎফুর রহমান,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আব্দুল আজীজ মৰু, আব্দুল আজিজ, শিল্পী প্রবাসী সোহেল, জহির খানসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ।
আলোচকেরা মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী, চার জাতীয় নেতাসহ অন্যদের অবদান কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করে বক্তারা বলেন, আমরা প্রবাসে থাকলেও দেশ সব সময় আমাদের হৃদয়ে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে বিজয় দিবসের ইতিহাস জানাতে হবে। জানাতে হবে আমাদের মানচিত্রকে, শেখাতে হবে আমাদের বাংলা সংস্কৃতিকে।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে আল মামুন বলেন, প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করার জন্য বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে কিভাবে দেশ স্বাধীনতা লাভ করে বিজয় অর্জন করেছে।
পরে নৈশভোজ শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আসাদুজ্জামান রাজ্জাক।
সময় জার্নাল/এলআর