লাবিন রহমান:
আধুনিক বিশ্বে লেখক সাংবাদিকরা রাষ্ট্রকে সঠিক পথ নির্দেশনা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি) আয়োজিত লেখক সম্মাননা অনুষ্ঠান-২০২২ এ তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে ৫০ জন লেখককে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রত্যেককে নগদ পাঁচ হাজার টাকা, ক্রেস্ট, সনদ ও বিভিন্ন পুরস্কারসহ উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় পাঁচ শতাধিক লেখক ও সাংবাদিকের পদচারণায় মুখরিত ছিল অনুষ্ঠান স্থল।
আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আরও বলেন, ‘সাংবাদিক যে নির্যাতন হয় না এমন কথা বলা যাবে না। বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা অনেক আছে। এমনকি সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়েছে, এমন ঘটনাও এদেশে আছে। এগুলোর কোনোটাই আমরা অস্বীকার করছি না। নানান সময় নানান সরকার এই কাজগুলো করেছে। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৪ সালের বোমা হামলায় আমাদের খুলনার মানিক সাহা নিহত হয়েছিলেন। তিনিই তো সাংবাদিকতা জগতের দৃষ্টান্ত। সত্য প্রকাশের জন্য তিনি বাধা পেয়েও আপসহীন ভূমিকা পালন করেছিলেন। এমন ১৫-২০ জন সাংবাদিককে শুধু একটি সরকারের (বিএনপি) আমলেই জীবন দিতে হয়েছে।’
‘এত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সাংবাদিকরা যে আর্থিকভাবে ভালো আছেন, সেটাও জোর গলায় বলা যাবে না। আমরা যারা রাজনীতি করি নিঃসন্দেহে তাদের বেশিরভাগই সংবাদপত্রসহ টিভি-চ্যানেলগুলোর ওপর ভরসার সঙ্গে নির্ভর করি। আমরা সাংবাদিকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করি’ বলেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
ডিএসইসি লেখক সম্মাননার জুরি বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. গিয়াস শামীম, কবি প্রাবন্ধিক-গবেষক মজিদ মাহমুদ, কথাসাহিত্যিক ড. হাসান অরিন্দম, কবি ও গবেষক আমিনুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার।
কবিতা: অতনু তিয়াস, আলমগীর নিষাদ, সুরাইয়া ইসলাম। অন্যরা হলেন কবি পুলক হাসান, আব্দুর রহমান মল্লিক, মু আ কুদ্দুস, মোহসিন হোসাইন, চৌধুরী ফেরদৌস, দীপক ভৌমিক।
গল্প/উপন্যাসে: শান্তনু চৌধুরী, ইমন চৌধুরী, লাবণ্য লিপি, কামাল হোসেন টিপু, রনি রেজা। অন্যরা হলেন সাবিরা ইসলাম, আবুল হোসেন খোকন, তানভীর আলাদীন, হোসন শহীদ মজনু, ইব্রাহীম খলিল জুয়েল, শামীম ফেরদৌস,সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মাহমুদুল হক জাহাঙ্গীর, সাইফ বরকতুল্লাহ।
ইতিহাস গবেষণায়: কাজী আলিম উজ জামান, দীপংকর গৌতম, মুস্তফা মনওয়ার সুজন, মোহাম্মদ নূরুল হক, অঞ্জন আচার্য। সম্মাননাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন কায়কোবাদ মিলন, আহমেদ মতিউর রহমান, মুতাছিম বিল্লাহ, রীতা ভেীমিক, জাকির আবু জাফর, শরীফ আব্দুল গোফরান।
শিশুসাহিত্যে: আশিক মুস্তাফা, অদ্বৈত মারুত, মনসুর হেলাল। অন্যজন হলেন মামুন রশিদ।
অনুবাদ: প্রমিত হোসেন, সাহাদত হোসেন খান, মলয় পাঁড়ে।
ভ্রমণ/বিজ্ঞান: আসিফ, জাহাঙ্গীর সুর, সুমন ইসলাম, কাজী রফিক।
সময় জার্নাল/এলআর