নিজস্ব প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট দেয়ার অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার আওয়ামী লীগই নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগেরে স্লোগান ছিল- আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো।
আমরা নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছি। তাদের আর্থিক সক্ষমতা তাদের হাতে দিয়ে দিয়েছি। তারা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সেই সুযোগ করে দিয়েছি। সবাইকে ভোটার আইডি কার্ড করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন-২০২২ করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের যদি ভোট চুরির নিয়ত থাকতো, তাহলে তো খালেদা জিয়ার মতো আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন করতে পারতাম। আমরা সেটা করি নাই।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধ চাই না। স্যাংশন চাই না। এগুলো বন্ধ করুন। সব দেশ স্বাধীন, তারা তাদের মতো চলতে পারবে, সে অধিকার তাদের আছে। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমরা জানি।
একাত্তরের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, শিশু ও নারীর মানবাধিকার লংঘন হয় সেখানে। অতএব, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করুন। তাদের উসকানি দেওয়া বন্ধ করুন। আমরা শান্তি চাই। এই যুদ্ধের কারণে অর্থনীতিতে বিপর্যস্ত অবস্থা।
এসময় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। দলীয় নেতাকর্মীদের সামনে সে পক্রিয়াও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পিতাকে (বঙ্গবন্ধুকে) বলতে চাই, আপনার জনগণ আর অভুক্ত থাকবে না। কথা দিলাম।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে সেটা করতে দিতে পারি না। আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম- নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করবো। করেছি। বিমানবন্দর, সারাদেশে স্কুল-কলেজ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ করেছি। এর আগে কোনো সরকার কি পেরেছে ১০০ ব্রিজ একসঙ্গে করতে? কে পেরেছে? আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগই পারে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এরকম এক সম্মেলনে আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে সভাপতি করা হয়। ছেলেমেদের দায়িত্ব রেহানার ওপর ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছিলাম। স্বাধীনতার সুফল যেন মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায়, সেটাই ছিল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যাতে সরকারে না আসতে পারে, অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের এতটুকু স্বার্থ আমার জীবন থাকতে কারও হাতে তুলে দেবো না, এটাই ছিল আমার প্রতিজ্ঞা।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ। তিনি দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য তিনি সেটা পারেননি। আমরা সেটা করছি।
এতে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
সময় জার্নাল/এলআর