নিজস্ব প্রতিবেদক:
ওমিক্রনের নতুন উপ-ধরন বিএফ.৭ এর প্রভাবে আবারও করোনাভাইরাস সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ওমিক্রনের এই উপ-ধরন শনাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থায় নতুন ধরনকে ‘অত্যন্ত সংক্রামক’ উল্লেখ করে স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে সন্দেহজনক যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, নৌ, স্থল ও বিমানবন্দর বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চীন ও ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, এসব দেশে ওমিক্রন বিএফ.৭ উপ-ধরনের কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেশী দেশসমূহে সংক্রমণ বাড়লে বাংলাদেশেও সেই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
অধিদপ্তর বলছে, ওমিক্রনের নতুন উপ-ধরন বিএফ.৭ অত্যন্ত সংক্রামক। এর সংক্রমণ রুখতে এবং দেশের জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার জন্য দেশের নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি এবং স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই ভাইরাস যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রাজিল ও জার্মানিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সন্দেহজনক যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে। এমতাবস্থায় এসব দেশ থেকে আসা সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌ বন্দর এবং বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হল।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আপনার জেলার পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে স্থাপিত ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফ্রা রেড হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার কার্যকর রাখতে হবে। নৌ, স্থল ও বিমানবন্দরে আসা সন্দেহজনক যাত্রীদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করতে হবে। সেইসঙ্গে রিস্ক কমিউনিকেশন কার্যক্রম জোরদার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এমআই