নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সঠিকভাবে যদি জনগণকে পথ দেখাতে পারে, তাহলে দেশের উন্নয়নে কেউ বাধা দিতে পারবে না। আওয়ামী লীগ প্রধান প্রত্যেক জেলা উপজেলায় দলীয় কার্যালয় স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ইউনিটকে তাদের অফিস স্থাপনে সাহায্য করবে, যদি তারা অক্ষম হয়। প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় একটি কার্যালয় থাকা দলের জন্য প্রয়োজন।
দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) গণভবনে শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এ কথা বলেন।
দলকে শক্তিশালী করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা দলকে শক্তিশালী করতে অবশ্যই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন। আপনাদের প্রতি এ আমার অনুরোধ।
তিনি বলেন, গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের আর কোনো শক্তি নেই। আমরা কেবলমাত্র জনগণের শক্তিতেই বিশ্বাস করি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। অনলাইনের মাধ্যমে পুরো দেশের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ আমাদের রয়েছে। তাহলে এক্ষেত্রে কেন আওয়ামী লীগ পিছিয়ে থাকবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যোগাযোগ সহজ করে তুলতে আমি একটি প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি গড়ে তুলতে চাই। তিনি দলকে শক্তিশালী করতে নতুন সদস্য নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আটটি বিভাগে আটটি নতুন দল গঠন করবো। তারা নতুন সদস্য নিয়োগের বিষয়টি দেখভাল করবে।
আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা এ দেশের মাটি ও জনগণ থেকে বেড়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সামরিক শাসকদের পকেট থেকে এসেছে, যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছে।
এ কারণে জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু গণমানুষের ভাগ্য গঠনের দায়িত্ব আওয়ামী লীগের। তাই এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা ও কর্মীর দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, অস্থির বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারে দলের নেতৃত্ব ভার গ্রহণে আমি রাজি হয়েছি।
একজনকে এতোবার দায়িত্ব নেওয়া অবশ্যই ঠিক নয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় এ দায়িত্ব আমি নিয়েছি। আপনাদের স্মরণে রাখতে হবে যে আমারও বয়স বাড়ছে।
তিনি করোনা মহামারি, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধজ্ঞার কারণে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশের প্রতি ইঞ্চি আবাদী জমি ব্যবহারের ওপর আবারো গুরুত্বারোপ করেন।
এমআই