শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

নাটকীতার অবসান: আজ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করছেন ‘প্রচন্ড’

সোমবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
নাটকীতার অবসান: আজ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করছেন ‘প্রচন্ড’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সিপিএন-মাওয়িস্ট সেন্টার নেতা পুষ্পকুমার দহল ওরফে ‘প্রচন্ড’। আজ সোমবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে পারেন।

এদিকে, রোববার দিনভর চলেছে নানা নাটকীয়তা। নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সকালে। দুপুর গড়াতেই বিরোধী সিপিএন-ইউএমএল-সহ ছোট দলগুলো বাড়ায় সমর্থনের হাত। তাদের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ‘প্রচন্ড’।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দলের সাথে চুক্তি হয়েছে প্রচন্ডের দলের। দুই দল থেকেই ভাগাভাগি করে হবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রচন্ডের দাবি মেনে তাকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে সায় দিয়েছেন ওলি। তাই এখন প্রচন্ডই হচ্ছেন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী। পরের দফায় প্রধানমন্ত্রী হবেন ওলি।

রোববার সকালেই নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন পাঁচ দলের জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন প্রচন্ড। তাকে প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রিত্ব দিতে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী তথা নেপাল কংগ্রেসের প্রধান শের বাহাদুর দেউবা। এমনকি, প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের পদও নিজেদের দখলেই রাখতে চেয়েছিলেন দেউবা। সিপিএন-এমসিকে আপাতত স্পিকারের পদই দিতে চেয়েছিলেন। রাজি হননি প্রচন্ড। ওই কারণে জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।

এর পর রোববার ওলির বাসকোটের বাসভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে প্রচন্ডের নেতৃত্বাধীন সিপিএন-এমসি, ওলির নেতৃত্বাধীন সিপিএন-ইউএমএল, রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি (আরএসপি) এবং অন্য ছোট ছোট দল। ছিলেন সব দলের শীর্ষ নেতারা। নিজেদের মধ্যে চুক্তি করে জোট সরকার গড়ার বিষয়ে একমত হয়েছে দলগুলো। 

সিপিএন-এমসি নেতা দেব গুরুঙ্গ জানান, নেপালের সংবিধানের ৭৬ (২) ধারা মেনে ১৬৫ জন আইনপ্রণেতা চুক্তিতে সই করেছেন। প্রেসিডেন্টের কাছে সেই চুক্তি পাঠানো হবে।

নেপালে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্যসংখ্যা ২৭৫। সেখানে ১৬৫ জনের সমর্থন পেয়েছে নতুন জোট সরকার। তার মধ্যে সিপিএন-ইউএমএলের ৭৮ জনের সমর্থন পেয়েছে নতুন জোট সরকার। প্রচণ্ডের দল সিপিএন-এমসির ৩২ জনের সমর্থন রয়েছে। আরএসপির ২০ জন, আরপিপির ১৪ জন, জেএসপির ১২ জন, জনমত দলের ছয় ন এবং নাগরিক উন্মুক্তি পার্টির তিনজনের সমর্থন রয়েছে।

সিপিএন-ইউএমএলের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর পোখারেল বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েও নেপালি কংগ্রেস সরকার গড়তে পারেনি। এখন প্রচণ্ডের নেতৃত্বে সিপিএন-ইউএমএলের নতুন সরকার গড়তে উদ্যোগী হয়েছে। তাতে সমর্থন রয়েছে ১৬৫ জন আইনপ্রণেতার।’

উল্লেখ্য, নেপালের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলো নেপালি কংগ্রেস। তাদের আসন সংখ্যা ৮৯। সরকার গড়ার জন্য ১৩৮ জনের সমর্থন প্রয়োজন। সেখানে নতুন জোট সরকারের ১৬৫ জনের সমর্থন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে আস্থাভোটে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে প্রচন্ডকে।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল