দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ: অবশেষে গোপালগঞ্জে ৩০ বছর ধরে বদ্ধ থাকা কংশুরের খালটি জনগণের সুবিধার জন্য উম্মুক্ত করে দিয়েছেন প্রশাসন। যার ফলে সদর উপজেলার করপাড়া ও দূর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের মানুষের চাষাবাদে ব্যপক উন্নতি সাধন হবে। এছাড়া প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির জলবদ্ধতা নিরসন হবে।
করপাড়া ইউনিয়নের কংশুর পয়েন্টে খালটির বাঁধ কেটে দিয়ে উন্মুক্ত করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মনোয়ার হোসেন উপস্থিত থেকে অতি সম্প্রতি ওই খালের বাঁধ কেঁটে দেন।
বনগ্রামের নূর আলম মোল্লা বলেন, বিগত ৩০ বছর যাবত কংশুরের এই খালটি জলাশয় হিসেবে সদর উপজেলা প্রশাসন লিজ দিয়ে আসছেন। লিজ গ্রহীতারা খালের বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করতেন।
এতে জমির পানি খালে নামতে এবং নদীর জোয়ার-ভাটার পানি জমিতে যেতে পারতো না। এছাড়া খালের পাশের গ্রামের কৃষকদের নৌকায় করে ফসল আনতে সমস্যায় পড়তে হতো। এরআগে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে প্রশাসনের নজরে আনার চেষ্টা করা হয়। খালটিকে উম্মুক্ত করার দাবীতে এলাকাবাসি মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে ৩০ বছরের সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান করে দেয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত।
করপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল খালটি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছিল।এতে এরফলে খালের দুই পাশের অন্তত ২ হাজার হেক্টর জমিতে জলঅবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এই খালটি উন্মুক্ত করায় মানুষ উপকৃত হবেন। জমিতে সেচ দেয়ার পাশাপাশি দৈনন্দিন নানাবিধ কাজে খালের পানি ব্যবহার করতে পারবেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুর রহমান বলেন, খালটি বদ্ধ জলাশয় হিসেবে উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেয়া হয়। এতে বনগ্রাম, বলাকইড়, কংশুর, দূর্গাপুর, কাঠি ও কাজুলিয়া বিলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পরে এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এবং উপজেলা জলমহাল কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কংশুর খালটির ইজারা
বাতিল করে জনগনের উপকারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
এই খালের বাঁধসমুহ কেঁটে বনগ্রাম ও বলাকইড় বিলের সাথে এবং মধুমতি এমবিআর চ্যানেলের সাথে সংযোগ করা হচ্ছে।এতে এলাকার মানুষ আগের মতো চাষাবাদ ও দৈনন্দিন কাজে খালের পানি ব্যবহার করে উপকৃত হবেন।
সময় জার্নাল/এমআই