সর্বশেষ সংবাদ
নিজস্ব প্রতিনিধি: নতুন সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়ে শুরু হচ্ছে ইংরেজি নতুন বছর ২০২৩। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরণ করছে নতুন বছরকে। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৩ উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। প্রকৃতির নিয়মেই নতুন বছর মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করে এবং নব উদ্যমে সুন্দর আগামীর পথচলায় অনুপ্রেরণা যোগায়।’ ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পেরিয়ে ১ জানুয়ারি ১২টা বাজার পরপরই রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় নানা আয়োজনের মাধ্যমে শুরু হয় বর্ষবরণ। বিশেষ করে এ সময় চারদিক কাঁপিয়ে বাজি ফোটাতে থাকেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। আতশবাজির আলোয় মধ্যরাতের আকাশ ঝলমলে হয়ে ওঠে। বাজির শব্দ আর আলো সবাইকে জানিয়ে দেয়, নতুন বছর এসে গেছে। নববর্ষ বরণ ও থার্টি ফার্স্ট উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় নগরবাসীকে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কোনো আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুস না ওড়াতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন যে রোমান নববর্ষ আমরা পালন করি, তার মূলে আছেন রোমান সম্রাট নুমা পম্পিলিউস। আগে বছরে মাস ছিল দশটা, বছর শুরু হতো মার্চে। তিনি দুটো মাস যুক্ত করে জানুয়ারি থেকে বছরের সূচনা স্থির করেন। জানুয়ারি মাসের নাম দেওয়া হয়েছিল রোমান দেবতা জানুসের নামে। তিনি দেবতা ছিলেন নবসূচনার। তার দুই মুখের একটি ছিল অতীতের দিকে ফেরানো, আরেকটি ভবিষ্যতের দিকে। অতীতের পর্যালোচনা আর প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রার তিনি ছিলেন প্রতীক। এরপর শতাব্দীর পর শতাব্দী পার হয়ে গেছে। যুগ পাল্টেছে, সভ্যতার স্তর বদলেছে, কিন্তু তার মূল চেতনা পাল্টায়নি।বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রে আমাদের বহু কিছু অর্জন করা বাকি আছে। কিন্তু যা কিছু আমরা অর্জন করেছি, তা অভাবনীয়। সেটা স্বীকার না করলে এ দেশের সাধারণ মানুষকে তাদের প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া হয় না। বিভিন্ন সামাজিক সূচকে আমাদের ঈর্ষণীয় সাফল্য, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক খাতে নারীদের অংশগ্রহণ, কৃষকদের অসামান্য অবদান, প্রবাসী শ্রমিকদের ঘাম-ঝরানো উপার্জন বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে এক বিস্ময়কর উদাহরণ হিসেবে হাজির করেছে। বিগত কয়েক বছরের নানা বন্ধুর পরিস্থিতিতেও এসব সাফল্য থমকে যায়নি। এই অজেয় আত্মা বাংলাদেশের। এই অজেয় চেতনা সঙ্গে নিয়েই আমরা নতুন বছরে প্রবেশ করেছি। এসএমযুগে যুগে সবাই নতুন বছর সামনে রেখে তাদের নতুন লক্ষ্য স্থির করেছে, সে লক্ষ্যে নবীন উৎসাহে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য নববর্ষকে উদ্যাপন করেছে। ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র। প্রাচীন ব্যাবিলন নগরে চার হাজার বছর আগেও মানুষ এই উদ্দেশ্যে নববর্ষ উদ্যাপন করেছে। এক বছরের চক্রাবর্তে পারিনি তো কী হয়েছে, নতুন বর্ষচক্রে সেটা নিশ্চয়ই অর্জন করব।
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল