এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সেই গোয়ালবাড়ীয়া আবুল কাসেম স্মৃতি দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এবারে ৩ পদে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ তুলে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিভাবক সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. বাদশা হাওলাদার।
প্রাপ্ত অভিযোগে বলা হয়েছে, মাদ্রাসার নিয়মবর্হিভূত ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে মোকাম মোরেলগঞ্জ বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত বাগেরহাটে মাহমুদুল হাসান শাওন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার নং-দেওয়ানী ১৬৪/১৯ ও মাদ্রাসা বোর্ডে কমিটি বাতিলের দাবিতে পৃথক অভিযোগ থাকা সত্তে¡ও বর্তমান কমিটি ও মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার গোপনীয়ভাবে গত ৩১ ডিসেম্বর সরকারি ছুটির দিনের নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে তিনি নিজেই সহকারি সুপার পদ থেকে ‘সুপার পদে’, তার ছেলেকে নিরাপত্তাকর্মী পদে ও আয়া এ ৩টি পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
যা নিয়মবর্হিভূত নিয়োগ বোর্ডে একাধিক প্রার্থী অংশ গ্রহন না করে নিজেদের লোক দিয়ে সাজানো হয়েছে এ নিয়োগ বোর্ড। অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। গোয়ালবাড়ীয়া আবুল কাসেম স্মৃতি দাখিল মাদ্রাসার নামে কোন জমি নেই।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে যে জমি দেখানো হয়েছে তা গোয়ালবাড়ীয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসার নামে রয়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসাটির স্বীকৃতি নবায়ন নেই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে এ মাদ্রাসাটির নানা অনিয়মের বিষয়ে ইতোপূর্বে একাধিক পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এ সর্ম্পকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হোসাইন বলেন, আদলতের মামালার বিষয়টি তিনি অবহিত নন। তবে, মহাপরিচালকের নির্দেশনায় বিধি অনুযায়ী নিয়োগ বোর্ডে লিখিত পরীক্ষায় বেশী নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে।
এ সর্ম্পকে গোয়ালবাড়ীয়া আবুল কাসেম স্মৃতি দাখিল মাদ্রাসা ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা সিদ্দিকুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ০১৭২৫২২৮২৮২ নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জিয়াদ হাসান বলেন, নিয়োগ বোর্ডে তিনিসহ ডিজি প্রতিনিধি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর