বুধবার, জানুয়ারী ৪, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আগের অবস্থায় ফিরতে ইউক্রেনের ৭০০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন পড়বে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিগাল মঙ্গলবার এমন তথ্য দিয়েছেন। গত ২৪ জানুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ফলে দেশটির যে ক্ষতি হয়েছে তাই তুলে ধরেন তিনি। এর আগে গত জুন মাসে এ ধরণের আরেকটি ধারণা দিয়েছিল কিয়েভ। সেসময় যে ক্ষতির পরিমাণ ইউক্রেন বলেছিল, এবার তার দ্বিগুণ ক্ষতির কথা উল্লেখ করেছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনকে পুনরায় গড়তে আনুমানিক এক ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন পড়বে। মঙ্গলবার রাজধানী কিয়েভে মন্ত্রীসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউক্রেনীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংককে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেন আরও একবার পর্যালোচনা চালাবে যাতে বুঝা যায় যে, দেশকে পুনর্গঠনে কত অর্থ প্রয়োজন পড়বে। তিনি বলেন, গত জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এরপর রাশিয়া ইউক্রেনের অবকাঠামো লক্ষ্য করে যে হামলা চালিয়েছে তাতে ক্ষতি বেড়ে ৭০০ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে।
ডিসেম্বরে জেলেনস্কি দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনকে নতুন করে গড়তে এক ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন পড়বে। তবে প্রধানমন্ত্রী শ্যামিগাল এর থেকে ৩০০ বিলিয়ন ডলার কম বলেছেন।
এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের হিসাব অনুযায়ী এ সংখ্যা ৬০০ বিলিয়ন ইউরো বা ৬৩৩ বিলিয়ন ডলার।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩১১ বিলিয়ন ডলার জমা রয়েছে। জোটটি চাচ্ছে এই অর্থ ইউক্রেনকে দিয়ে দিতে। এ নিয়ে ইইউ দেশগুলো ইদানিং তোরজোড় শুরু করেছে। এরইমধ্যে ইউক্রেনের তরফ থেকে নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানানো হলো। তবে রাশিয়ার অর্থ এভাবে ইউক্রেনকে দিয়ে দেয়া নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যেও বিভেদ রয়েছে। ব্লুমবার্গ মঙ্গলবার জানিয়েছে, জার্মান সরকার এই ইস্যু নিয়ে বিভক্ত। তবে অন্য দেশগুলো এই পথে হাটলে জার্মানিও সঙ্গ দেবে।
এমআই