মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কাশ্মীরি শাল চেনার উপায় জেনে নিন

শনিবার, জানুয়ারী ৭, ২০২৩
কাশ্মীরি শাল চেনার উপায় জেনে নিন

অনলাইন ডেস্ক:

শীতকালের ঠাণ্ডার সঙ্গে ফ্যাশনটাও বেশ চলে। নানা রঙের এবং ধরনের শীতের কাপড় এখন বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। সোয়েটার ও জ্যাকেটের পাশাপাশি শালও অনেকের বেশ পছন্দ। কাশ্মীরি শাল দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি সবার কাছে এটি বেশ আগ্রহেরও। বাঙালির কাছে খুবই জনপ্রিয় বলতে পারেন।

শাল তৈরির সুতা যেভাবে সংগ্রহ করা হয় 

হিমালয়ের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল, ইনার মঙ্গোলিয়া, ইতালির উত্তরের পাহাড়ি অঞ্চল, ইংল্যান্ডের পাহাড়ি অঞ্চল এবং অস্ট্রেলিয়ান পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে এক জাতের লম্বা পশমবিশিষ্ট ছাগল পাওয়া যায়, যেগুলোকে বলে ক্যাপরা হিরকাস ছাগল।

এই ছাগলের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে, যা অন্য সকল পাহাড়ি ছাগল থেকে আলাদা। যেমনএদের গায়ের পশম খুবই চিকন এবং সিল্কি। বন্য পরিবেশে মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও এরা দিব্যি বেঁচে থাকে। এই ক্যাপরা হিরকাস ছাগলকে সমুদ্র সমতল থেকে চার হাজার মিটার উচ্চতার পাহাড়ের পাথুরে পরিবেশেও বিচরণ করতে দেখা যায়। এখন অনেক দেশেই এদের বাণিজ্যিকভাবে খামারে পালন করা হচ্ছে। 

দুইভাবে এসব ছাগল থেকে পশম সংগ্রহ করা হয়

১) মেশিন দিয়ে গায়ের সকল লোম ছেঁটে মান অনুযায়ী বাছাই করা হয়। তারপর পশম ধুয়ে গরম পানিতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সিদ্ধ করে। এরপর রং মিশিয়ে এবং শুকিয়ে সুতা তৈরি করা হয়।

২)  এসব ছাগলের লোম ধীরে ধীরে আঁচড়ালে মূল পশমের নিচে থাকা আরেক ধরনের খুব সূক্ষ্ম কিছু লোম/পশম পাওয়া যায়। সেগুলো সংগ্রহ করে সুতা তৈরি করা হয়।

এভাবে একটি প্রাপ্তবয়স্ক ছাগল থেকে সারা বছরে সর্বোচ্চ দেড় শ গ্রাম (১৫০ গ্রাম) পশম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী কেশমির পশমের থিকনেস হতে হবে ৯০ মাইক্রনের কম। এ দুই প্রকার সুতাকে বলা হয় কেশমির, কাশ্মীর নয়।


কিভাবে পরীক্ষা করবেন চলুন জেনে নেই

 বার্ন টেস্ট,

আপনার কাশ্মীরি শাল থেকে একটু সুতা বের করে নিন। ওই সুতায় একটু আগুন লাগিয়ে দেখুন। পুড়ে যাওয়ার পরে যদি পোড়া চুলের গন্ধ বের হয়, তাহলে বুঝবেন এই শাল আসল। কারণ কাশ্মীরি একদমই প্রাকৃতিক ফাইবার, তাই এর থেকে পোড়া গন্ধ বের হবে।

 চকচকে 

না পুড়িয়েও শালটি খাঁটি কি না পরীক্ষা করতে পারেন। এর জন্য শালটি হাতে নিন। সামান্য রোদের দিকে ধরুন বা কৃত্রিমভাবেও আলো ফেলতে পারেন। এবার খেয়াল করে দেখুন শালের ওপর আলো পড়ায় চকচক করছে কি না। কাশ্মীরি শালের একটা আলাদা উজ্জ্বলতা আছে; কিন্তু অতিরিক্ত চকচকে করলেই বুঝবেন নকল। হয়তো আলাদা কোনো সুতা মেশানো আছে।

রোয়া ওঠা

শীতের কাপড় থেকে বেশির ভাগ সময় রোয়া ওঠে। শাল থেকে রোয়া উঠলে এই  অসাধারণ শালের সৌন্দর্য কমে যায়। একইভাবে কাশ্মীরি শাল থেকেও রোয়া উঠতে পারে। বিষয়টি কিন্তু বেশ স্বাভাবিক। কাশ্মীরি শাল থেকে রোয়া উঠলে বুঝবেন শালটি আসল এবং মান ভালো।


আরাম কেমন?

ভালো মানের শীতের কাপড় পরলে আরাম পাবেনই। কাশ্মীরি শাল খুব নরম এবং আরামদায়ক। এটি পরার কারণে আপনার ত্বকে ঘষা লাগবে না। ত্বক লাল হবে না বা চুলকানিও হবে না। এমন কিছু দেখলে বুঝবেন নকল। 


সূত্র : এই সময়,

সময় জার্নাল/আইপি


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল