শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ঘোড়াশালে হাড় কাঁপানো শীতে ফুটপাতের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়

শনিবার, জানুয়ারী ৭, ২০২৩
ঘোড়াশালে হাড় কাঁপানো শীতে ফুটপাতের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী:

নরসিংদীর পলাশে চলছে শীতের রাজত্ব। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা আর দুপুরে চলে সূর্যের লুকোচুরি। এতে জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। ফুটপাত থেকে উপজেলার বড় বড় মার্কেটে সর্বত্রই ছেঁয়ে গেছে শীতের পোষাক আর বাহারি কম্বলে। নিজে ও পরিবারের সদস্যদের উষ্ণ রাখতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

পলাশ উপজেলার সবচেয়ে বড় ফুটপাত ঘোড়াশাল বউ বাজার ঘুরে দেখা যায়, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ক্রেতারা যেমন আসছেন তেমনি স্বল্প আয়ের মানুষেরাও অল্পদামে শীতবস্ত্র কিনতে ফুটপাতের এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে ভিড় করছেন। তবে এখানে পুরষ ক্রেতার চেয়ে মহিলা ক্রেতাই বেশি দেখা গেছে। এই ফুটপাতে শীতের চাদর, জ্যাকেট, সোয়েটার, কম্বল, মোটা কাপড়ের
গেঞ্জি, হুডি, মাফলার, কমফোর্টার, হাতমোজা, কানটুপিসহ সব ধরনের শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। কোনো কোনো দোকানী আবার সাজিয়ে বসেছেন শুধুই শিশুদের শীতের কাপড়।

শীতবস্ত্র কিনতে আসা সবিকুল ইসলাম নামে ব্যক্তি জানান, গত তিন ধরে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। তাই স্ত্রী সন্তান নিয়ে ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানে এসেছি কাপড় কিনতে। আমাদের মতো সাধারণ আয়ের মানুষের জন্য সব ধরনের শীতবস্ত্র পাওয়া যায়।

সোনিয়া নামে আরেক নারী ক্রেতা জানান, এখানে এসে অনেক দোকান ঘুরে দেখলাম আর আর কিছু শীতবস্ত্র কিনলাম। আমাদের মতো মধ্যবিত্তের মানুষের জন্য এ বাজার খুবই ভাল। হাতের নাগালেই সব কিছু সস্তা দামে পাওয়া যায়। ফারজানা নামে আরও এক ক্রেতা জানান, কমদামে ছেলে মেয়েদের শীতবস্ত্র কেনার জন্যই এই ফুটপাতের দোকান গুলোতে এসেছি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার একটু শীতবস্ত্রের দামটা বেশি মনে হচ্ছে।

দোকানের বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের শাল ও চাদরের দাম পরে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, সোয়োটার ২৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা, কাপড়ের জুতা ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, জ্যাকেট ৫০০থেকে ৮৫০ টাকা, গরম কাপড়ের তৈরি প্যান্ট ২০০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা, পায়জামা ১২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, টুপিওয়ালা গেঞ্জি ১৩০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, টুপি ১০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, মাফলার পাওয়া যায় ১০০ টাকা থেকে ২২০ টাকার মধ্যে, কম্বল ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, বিদেশী কম্বল ২০০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা।

শীতবস্ত্র বিক্রেতারা বলছেন, করোনার কারণে গত দুই বছর ভালোভাবে ব্যবসা করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে আমরা আর্থিকভাবে লোকসানের সম্মুখীন হয়েছি। কিন্তু এবছরও পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে পণ্য আনয়নসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে গেছে। তাই দামটা কিছুটা বেড়েছে। আর সব শ্রেণির ক্রেতাদের জন্য বিভিন্ন মানের শীতবস্ত্র আমরা সংগ্রহ করেছি। বাহারি আলোকসজ্জায় সজ্জিত দোকানগুলোতে অনেক ক্রেতা শীতবস্ত্র কিনতে পারেনি বলে ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে। আর তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় ফুটপাত থেকেই পোষাক কিনছেন ক্রেতারা।

ঘোড়াশাল বাজারের বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, শুক্র ও সোমবার এই দুই দিন এ বাজারের হাটবার থাকায় এখানে প্রায় ৪০০ ভাসমান দোকান ফুটপাতে বসে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুবিদার্থে আমরা এ দুই দিন বাজার কমিটির লোকজন সারাক্ষণ মনিটরিং করে থাকি। 

তিনি আরও জানান, সব কিছুরই দাম বেড়েছে। মনে হচ্ছে সেই প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়বে। তবুও আমরা আশাবাদী যে, এবছর ভালো ব্যবসা হবে।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল