লাইফস্টাইল ডেস্ক:
দিনে দিনে একটি অত্যন্ত পরিচিত অসুখ বেড়েই চলেছে যার নাম হলো গলব্লাডার স্টোন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ গলব্লাডার স্টোনে আক্রান্ত। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার গলব্লাডারে হওয়া পাথর বাইল ডাক্টে এসে আটকে যায়। এরফলে অবস্ট্রাক্টিভ জন্ডিস হয়। এর ফলে পেটে ও পিঠে তীব্র যন্ত্রণা হতেও দেখা যাচ্ছে ।
গলব্লাডার স্টোন হলে পিত্ত এসে ক্ষুদ্রান্তে মিশতে পারে না ফলে হজমের সমস্যা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে আবার লিভারেও জমে যায় পিত্ত। যা থেকে লিভারের ক্ষতিও হয়। তবে চিকিৎসকদের মতে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলেই সহজেই এড়িয়ে চলা যায় এই গলব্লাডার স্টোনের ঝুঁকি। তবে তার আগে জেনে নেয়া দরকার কী এই গলব্লাডার স্টোন? কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এই অসুখ? কেন হয় এই গলব্লাডার স্টোন? কাদের এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি এবং কী কী উপায় অবলম্বন করলে এই অসুখের ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব সেই বিষয়ে সম্মক ধারনা থাকা প্রয়োজন।
গলব্লাডার স্টোন কী, ও কোথায় হয়?
আমাদের শরীরের পিত্তথলি বা গলব্লাডারে এই পাথর তৈরি হয়। পিত্তথলি বা গলব্লাডারের ভেতর পিত্তরসের কিছু পদার্থ জমে গিয়ে এই পাথরতৈরি হয়। গলব্লাডার বা পিত্তাশয়েই এই পাথর তৈরি হলেও অনেক সময় পিত্তনালীর বাইল ডাক্টেও এই গলব্লাডার স্টোন হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে আমাদের পিত্তরসে কোলেস্টেরল, বাইল সল্ট, বাইল পিগমেন্টের মতো একাধিক উপাদান থাকে। তবে এই সব উপাদান নির্দিষ্ট অনুপাতে থাকে। পিত্তরসে থাকা এই উপাদান গুলির অনুপাতের তারতম্য হলে তা পিত্তরসের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে পিত্তরস কঠিন হয়ে জমে গিয়ে গলব্লাডার স্টোন তৈরি হয়।
গলব্লাডার স্টোনের উপসর্গ কী কী?
গলব্লাডার স্টোনে আক্রান্ত হলে প্রথমে পেটের ডান পাশ ঘেঁষে যন্ত্রণা শুরু হয় যা ক্রমশ উপর দিকে উঠতে থাকে। এরপর পেটের মাঝখান বরাবর মানে ঠিক বুকের নিচে থেকে যন্ত্রণা হতে হতে তা পিঠের দিকে দুই কাঁধের মাঝ বরাবর অথবা ডান কাঁধের দিকে ছড়িয়ে যায়। এছাড়াও জন্ট্রনার হওয়ার পাশপাশি অনেকের গা-বমি ভাবও থাকে এবং বমিও হতে থাকে।
কাদের গলব্লাডার স্টোন হওয়ার সম্ভবনা বেশি?
চিকিৎসকদের মতে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা অতিরিক্ত অজনের সমস্যায় ভোগেন, যাদের বয়স ৪০-এর বেশি, যারা ফর্সা ত্বকের অধিকারী এবং নারীদের মধ্যে বেশি গলব্লাডার স্টোনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
গলব্লাডার স্টোন এড়িয়ে চলার উপায়
গলব্লাডার স্টোন এড়িয়ে চলার জন্য নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করতে হবে। উপোস করা বা খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম করা গলব্লাডার স্টোনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে যাতে স্থূলতা ও কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা না দেয়। স্থূলতা ও কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে তা গলব্লাডার স্টোনএর ঝুঁকি বাড়ায়।
সময় জার্নাল // আইপি