এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অবশেষে সেই দীর্ঘ ৫ বছর পরে হলেও জনভোগান্তি লাঘবের গুরুত্বপূর্ণ বারইখালী হয়ে তেতুলবাড়ীয়া, ডেউয়াতলা ও মিঠাখালী হয়ে তেতুলবাড়িয়ার ৬ হাজার ২শ মিটারের কার্পেটিং সড়কের কাজ শুরু করেছেন সরকারীভাবে স্থানীয় এল জি ই ডি দপ্তর। স্থানীয় সংসদ সদস্যে এ্যাড. আমিরুল আলম মিলনের একান্ত প্রচেষ্টায় এ নতুন সড়কের নির্মাণ কাজে পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট।
সরেজমিন ও অফিসসূত্রে জানা যায় , উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে বারইখালী স্টীল ব্রীজ হয়ে চৌধুরীকাছাড়ি তেতুলবাড়িয়া হাট অভিমূখী ঢেউয়াতলা পর্যন্ত এবং মোংলা উপজেলার মিঠাখালী বিসি তেতুলবাড়িয়া পর্যন্ত। গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ এবং ঘুর্ণিঝড় আম্পান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পল্লীসড়ক অবকাঠামো পূর্নবাসন দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী অধিদপ্তর প্রায় ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে এ সড়কের কার্পেটিং এর কাজ শুরু করেছেন। চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩০ডিসেম্বরের মধ্যে রাস্তার কাজ সমাপ্ত হবার কথা রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ন এ সড়কটি থেকে প্রতিদিন ৪/৫ হাজার মানুষের চলাচল করে। মোরেলগঞ্জ উপজেলা শহর ও পার্শ্ববর্তী মোংলা উপজেলা ও বন্দরে হাজারো শ্রমিকের কর্মসংসস্থানের যোগাযোগ মাধ্যম। প্রতিনিয়ত ভাড়ায় চালিত শত শত মোটর সাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান, মটরভ্যান, মালামাল বহনকারী ট্রাক চলছে দুই উপজেলায় এ সড়ক থেকে। জনগুরুত্বপূর্ন এ সড়ক পার হয়ে বারইখালী ইউনিয়ন পরিষদ, জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদ, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন, তেতুলবাড়িয়া বাজার, বহরবুনিয়া ইউনিয়ন, ঢেউয়াতলা বাজারসহ ২০/২৫ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করছে প্রতিনিয়ত। যেতে হচ্ছে ইউনিয়ন ভুমি অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়,দাখিল মাদ্রাসা, কলেজ, টেকনিক্যাল কলেজ, মসজিদ, মন্দিরসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনায়। সড়কের দুই পাড়ের বিভিন্ন গ্রামের স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, দীর্ঘ ৫ বছর ধরে দুর্ভোগের আর শেষ ছিলনা। ভরাঘাটা হয়ে চৌধুরী কাছাড়ি পর্যন্ত মূল সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দ হয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে স্কুল শিক্ষার্থীসহ একাধিক বৃদ্ধরা। মালামালসহ পরিবহন উল্টে পড়েছে খালে।
এ নিয়ে স্থানীয়রা নতুন সড়ক নির্মানের দাবীতে মানববন্ধন, স্বারকলিপিসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অবশেষে বর্তমান বাগেরহাট-৪ মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলনের একান্ত প্রচেষ্টা ও তার হস্তক্ষেপে রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় আনন্দিত এলাকাবাসী। মমতাময়ী মাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় এমপি মহোদয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বারইখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল খান মহারাজ বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে যে গতিতে কাজ হচ্ছে শুধু বারইখালী ইউনিয়ন নয় পার্শ্ববর্তী নিশানবাড়ীয়া, জিউধরা ও মংলা উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সুগম হবে। কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাগব সহ নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে এ কাজটির জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়কে ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই।
এ সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় ৬ হাজার ২শ’ মিটার কার্পেটিং এ সড়কটিই শুধু নয় এ অর্থ বছরে স্থানীয় সংসদ সদস্যে মহোদয়ের একান্ত তদারকীতে খাউলিয়া ইউনিয়নের সাড়ে ৪ কিলোমিটার ২টি কার্পেটিং রাস্তাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৫/২০টি কার্পেটিং রাস্তা, ৬টি ব্রীজের চলমান কাজ অচিরেই দৃশ্যমান হবে।
সময় জার্নাল/এলআর