নিজস্ব প্রতিনিধি:
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) থেকে মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলীতে ১৫ কোম্পানির ৭১১টি বাসে ই-টিকিটিং চালু হবে। এর ফলে ঢাকার মোট ৪৫টি কোম্পানি ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসবে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, শতভাগ ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করতে পেরেছি বলবো না, এখনো কিছু অনিয়ম রয়েছে। তারপরও মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) থেকে মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলীতে ১৫ কোম্পানির ৭১১টি বাসে ই-টিকিটিং চালু হবে।
রাজধানীতে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় এসেছে বাস। প্রথম দিকে মিরপুরের ৩০টি কোম্পানির বাসে চালু করা হয় ই-টিকিটিং।
মেসার্স ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ, স্বাধীন লাইন পরিবহন, দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, মালঞ্চ পরিবহন লিমিটেড, তরঙ্গ প্লাস ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, আলিফ এন্টারপ্রাইজ (১) (রুট-এ-১৪১), আলিফ এন্টারপ্রাইজ (২) (রুট-এ-২৯২), অভিনন্দন ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, বিকাশ পরিবহন লিমিটেড, গাবতলী এক্সপ্রেস লিমিটেড, মেঘলা ট্রান্সপোর্ট কোং লিমিটেড, ভিআইপি অটো মোবাইলস লিমিটেড, রমজান আলী এন্টারপ্রাইজ, মিডলাইন পরিবহন লিমিটেড এবং স্বপ্ন পরিবহন লিমিটেড।
পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ই-টিকিটিংয়ের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে বলে জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, দুজন কর্মকর্তা এটি সমন্বয় করবেন। এজন্য একটি হটলাইন করা হয়েছে। যেখানে তিনটি নম্বর রয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যারা পুরো ঢাকা শহর ঘুরে ঘুরে বিষয়টি দেখবেন। পাশাপাশি কয়েকটি কোম্পানির পক্ষ থেকে তারাও স্পেশাল চেকার রাখবেন।
ই-টিকিটিং চালু হলে ঢাকা শহরের মধ্যে চলাচলকারী বাসগুলোর যে অসম প্রতিযোগিতা সেগুলো বন্ধ হবে কি না এমন প্রশ্নে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ই-টিকিটিং চালু হলে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। কারণ চালকদের বেতন নির্ধারণ করা থাকবে। ই-টিকিটিংয়ের জন্য আরও অনেক বেশি টাকা নির্ধারণ করে তাদের দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ই-টিকিটিং সফল হলে আরও আধুনিক ব্যবস্থা করবো ভবিষ্যতে।
সময় জার্নাল/এলআর