বুধবার, জানুয়ারী ১১, ২০২৩
জেলা প্রতিনিধি:
মাঝে মধ্যে সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না শীতের তীব্রতা। দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
কুড়িগ্রামে শীত ও ঘন কুয়াশা ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষজন।
টানা তিন সপ্তাহ ধরে এ কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষরা। একই সঙ্গে বিপাকে পড়েছে নৌপথে যাত্রী ও মাঝিরা। ঘন কুয়াশার কারণে দিক ভুল করে অন্যপথে চলে যাচ্ছে তারা।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশা ক্রমান্বয়ে আরও ঘনীয়ভুত হয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের দিকে যাচ্ছে।
শ্রমিক মো. আব্দুল হামিদ বলেন, প্রতিদিন সাইকেলে করে কাজে যেতে হয়। যে কনকনে ঠান্ডা পড়েছে সাইকেল চালিয়ে শহর যেতে খুব কষ্ট হয়। হাত পা শীতে বরফ হয়ে যাচ্ছে।
মো. মশিউর রহমান নামের এক দিনমজুর বলেন, এভাবে ঘনকুয়াশা আর ঠান্ডায় কাজ করতে খুব সমস্যা হয়। কাজ না করলে তো আর সংসার চলে না। উপায় না পেয়ে কষ্ট হলেও কাজে যাচ্ছি।
মোগলবাসা ঘাটের মাঝি আব্দুল জলিল বলেন, একে তো কনকনে ঠান্ডা তার উপর ঘন কুয়াশা। এসময় নদীতে পানি কম থাকে ফলে নৌকা নিয়ে চলতে খুব সমস্যা। অনেক সময় দিক ভুল করে অন্যচরে ঢুকে যাই। যাত্রীদের সঠিক সময়ে পৌঁছে দিতে পারি না।
গৃহবধূ শাহেরা খাতুন বলেন, এ শীতে খুব বিপদে আছি। গরম কাপড়ের অভাবে বাচ্চাগুলো খুব কষ্টে আছে। কেউ যদি একটা কম্বল দিতো ঠান্ডার কষ্টটা একটু কমতো।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৮ হাজার শীতবস্ত্র বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা বিতরণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও দুস্থ ও অসহায় মানুষদের পাশে সরকারি বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সংগঠন শীতবস্ত্র বিতরণের কাজ শুরু করছে।
সময় জার্নার/এলআর