লাইফস্টাইল ডেস্ক:
প্রতিদিনের ব্যস্ততা, কাজের স্ট্রেসের সাথে পরিবেশ দূষণের প্রভাবও আমাদের ত্বকে দেখা দেয়। ফলে দিনে দিনে কমতে থাকে ত্বকের তারুণ্য, লাবন্যতা । এছাড়া বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে কোলাজেনের মাত্রাও কমে যায়। ফলে ত্বকে রিংকেলস ও ফাইন লাইনস সৃষ্টি হয়। ত্বক হারায় তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা ও উজ্জ্বলতা।
ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রয়োজন সঠিক যত্ন । তাই, প্রতিদিনের রূপচর্চার রুটিন এমন ভাবে সাজাতে হবে যেখানে ত্বকের সুস্থতা ও সৌন্দর্যের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদানই থাকবে। ভালো একটা ক্লিনজার ও ময়েশ্চারাইজারের সাথে ব্যবহার করতে হবে ত্বকের ধরণ ও প্রয়োজন অনুসারে একটি ভালো মানের সিরাম।
ত্বককে সুস্থ সুন্দর, উজ্জ্বল রাখতে সিরাম ত্বকে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। তাই সিরাম এখন যেকোনো স্কিনকেয়ার রুটিনে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ বিষয়ে কথা হয় প্রাভা হেলথের কনসালট্যান্ট ডাঃ শারমিনা হক এর সাথে। প্রখ্যাত এই ডার্মাটোলজিস্ট বলেন, “ সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকতে আমাদের ত্বকের প্রয়োজন বিভিন্ন রকম পুষ্টি উপাদান। ত্বকের লাবণ্য ও সতেজতা ধরে রাখতে ফেস সিরাম একটি অ্যাকটিভ স্কিন ফুড। একটি ভালো মানের সিরামে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম পুষ্টি উপাদানই থাকবে। তাই ত্বকের ধরন ও প্রয়োজন অনুযায়ী সিরাম বেছে নিতে হবে। কিন্তু ব্যবহারের আগে নিশ্চিত হতে হবে আপনার সিরামে, নিয়াসিনামাইড, সোডিয়াম হায়ালুরোনেট, ভিটামিন সি কিংবা আলফা আরবুটিন, ইত্যাদি কার্যকরী উপাদান আছে কিনা”।
তাই আগে জানুন আপনার ত্বকের ধরণ আর বুঝুন তার প্রয়োজনীয়তা। সিরাম যেকোনো উপাদানকে ত্বকের গভীরে সহজেই পৌঁছে দেয়। ব্রণের দাগ, রিংকেলস ও ফাইন লাইনস দূর করে সিরাম ত্বকে আর্দ্রতা আনে, কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে করে উজ্জ্বল ও মসৃণ। সিরাম ব্যবহার করতে হয় ত্বক পরিষ্কার করার পরে এবং ময়েশ্চারাইজ়ার লাগানোর আগে। সরাসরি ড্রপার থেকে অথবা আঙ্গুলের ডগায় পি-সাইজ পরিমাণ সিরাম নিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। সিরাম সম্পূর্ণ শোষিত হওয়ার পরই অন্য প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। সিরাম সাধারণত দিনে দু’বার ব্যবহার করা উচিত ।
অ্যামেরিকান স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড সিওডিল শুষ্ক, তৈলাক্ত, স্বাভাবিক, মিশ্র ত্বকের ধরণ অনুযায়ী তিন ধরণের সিরাম বাজারে এনেছে। ইউ এস এর গ্রনবার্গ ল্যাবরেটরির ফরমুলেশনে তৈরি এই ব্র্যান্ডের অ্যান্টি-অ্যাকনি, ব্রাইটেনিং ও অ্যান্টি-এজিং সিরাম ত্বককে রাখে ব্রণমুক্ত, উজ্জ্বল ও তারুণ্যদীপ্ত।
এমআই