মো. মাইদুল ইসলাম: সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেছেন, সাত কলেজের সিলেবাস কমানোর পরিকল্পনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের নেই। আমিও এ ধরণের প্রস্তাবের পক্ষে নই। কারন কন্টেন্ট বড় একটা ইস্যু, বিদেশে পড়াশোনা করতে গেলেও কি কি পড়েছে এটা দেখা হয়। তাই সিলেবাস কমানোর দাবী না করে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ইদ পরবর্তী ১০-১৫ দিনের নোটিশে সাত কলেজের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা নেয়া হবে। যেগুলোর রুটিন ইতোমধ্যে করা আছে এবং এগুলো দ্রুত প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে পরীক্ষা দিতে পারে।
২৬ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল ৪ টায় 'সাত কলেজ : সমস্যার শনি' শিরোনামে সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ভার্চুয়াল লাইভে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদের সঞ্চালনায় সাত কলেজের চলমান নানান ইস্যু নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আই কে সেলিমুল্লাহ খোন্দকার, তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আশরাফ হোসেন, দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মুসতাক আহমেদ, তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শামিম হোসেন শিশির।
সেলিম উল্লাহ খোন্দকার আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮ মাসের সেশন শেষ করার সিদ্ধান্ত না নিলেও করোনাকালিন সেশনজট এড়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের সময় কমিয়ে সেশন শেষ করা হবে।
সাত কলেজের ফোকাল পয়েন্ট বলেন, করোনাকালীন সময়ে শুধু সাত কলেজেই নয় দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমেই বাঁধার সৃষ্টি হয়েছে। তবুও সাত কলেজ প্রশাসন থেকে নানান ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে। ঈদের পর ক্যাম্পাস খুললে আস্তে আস্তে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আশরাফ হোসেন বলেন, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে চলমান পরীক্ষা গুলো নিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সাত কলেজ প্রশাসন। যেহেতু করোনার হার বেড়েছে ভবিষ্যতে কি ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। তবে সেশনজট কমাতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছি। আটকে থাকা পরীক্ষা গুলো অতি শিগগিরই নিয়ে নেয়া হবে।
করোনাকালিন সময়ে অল্পদিনে ফর্ম পূরণের নোটিশের আর্থিক ও যাতায়াতের সমস্যা নিয়ে তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থী প্রশ্ন করলে প্রফেসর আশরাফ হোসেন বলেন, করোনায় যেহেতু আমাদের সেশন লস হয়েছে সেক্ষেত্রে পরীক্ষার কার্যক্রম এগিয়ে নিতেই আমরা ফর্ম পূরণ কার্যক্রম শেষ করেছি। শিক্ষার্থীরা সব মিলিয়ে ২০ দিনের মতো সময় পেয়ে থাকে ফর্ম পূরণের জন্য। শিক্ষার্থীদের সাথে করোনায় যাতায়াত বা অন্যান্য সমস্যা না হয়ে সে বিষয় গুলোর দিকে খেয়াল রেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।
ভার্চুয়াল এ আলোচনায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আই কে সেলিমুল্লাহ খোন্দকার ও প্রফেসর মোঃ আশরাফ হোসেনকে নানা প্রশ্ন করেন এবং অধিভুক্ত সাত কলেজের চলমান সমস্যা সহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।
সময় জার্নাল/এমআই