সর্বশেষ সংবাদ
সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর আগে সকাল ১০টা প্রশাসন ভবনের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা। এছাড়া গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিভাগটি পাঁচটি ব্যাচে ৪৬০ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও বিভাগটিকে এখনও কোনো শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অন্য বিভাগের থেকে ধার করা একটি কক্ষে শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। ফলে নিয়মিত শ্রেণিকার্যক্রমে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভাগটির শিক্ষার্থীদের।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলার নির্মাণ কাজ শেষ হলে তার অর্ধেক বিভাগটির নামে বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভবনের সম্প্রসারণ কাজ দীর্ঘদিনেও শেষ হচ্ছে না। এরমধ্যে ওই তলার দুইট ব্লকে অন্য একটি বিভাগের ফার্নিচার তোলা হয়েছে। এবং ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত দুই ব্লকের মধ্যে একটি অংশ নিয়ে ডিন অফিস তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এ জন্য ভবনের মূল নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে।
তারা জানান, গত ১৭ জানুয়ারি চতুর্থ তলার পূর্ব-উত্তর দিকে বিভাগের নাম সংবলিত স্টিকার লাগিয়ে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে তাদেরকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে হুমকি দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুই ব্লকে শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দের দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
বিভাগটির সভাপতি সাহিদা আখতার বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি ল’এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের জন্য কোন কক্ষ বরাদ্দ না থাকায় শ্রেণিকক্ষ, সেমিনার, ল্যান্ড সার্ভে ট্রায়াল কক্ষ, মুটকোর্টসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কক্ষের তীব্র সংকটের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিনের এই ক্ষোভ থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছে। আমরা সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় ফেরানোর চেষ্টা করছি এবং প্রশাসনকেও উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেছি। আমরা শিক্ষকরা প্রত্যাশা করি, প্রশাসন অতিদ্রুত শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সঠিক পরিবেশ সুনিশ্চত করবে।’
দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ভবনটির কাজ এখনো চলমান রয়েছে। কাজ শেষ হলে ঠিকাদাররা আমাদের ভবন বুঝিয়ে দিবেন। এর পর আমরা বরাদ্দের বিষয়ে আগাবো। এখনো সেখানে কোনো বিভাগকেই লিখিতভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।’
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল