জামালপুর প্রতিনিধি :
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিস্থ যমুনা সারকারখানায় এলাকায় আওয়ামী লীগের দু'গ্রুপে সংঘর্ষের মূল হোতা সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বাড়িঘরে হামলা ও লুটতরাজের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এরআগে সকালে তাকে উপজেলার কান্দারপাড়া গ্রামের নিজবাড়ি থেকে আটক করা হয়।
আটককৃত মিজানুর ওই গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।মামলা ও পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারাকান্দি গ্রামের মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের ছেলে এবিএম মশরেকুল আলম লিচুর ঘরে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা লিচুর স্ত্রী আফরিন সুলতানা ও ছেলে রাফি আল-হাসানসহ বাড়ির লোকদের পিটিয়ে লক্ষাধিক নগদ টাকা ও দুইভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুটতরাজ করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, যমুনা সার কারখানায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর ও ১৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের দু'গ্রুপের মধ্যে পৃথকভাবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মিজানুর রহমান একপক্ষের নেতৃত্ব দেন। উভয় সংঘর্ষে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন এবং পুলিশ বাদি হয়ে পৃথক দু'টি মামলা দায়ের করেন। উভয় মামলায় মিজানুর সম্প্রতি জামিনে এসেই শুক্রবার রাতে সে সংঘবদ্ধ হয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বাড়িঘরে হামলা করে। তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই সুলতান মাহমুদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার সকালে মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় সে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাশের পুকুরে ঝাপ দেয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী পুকুরের পানিতে থাকার পর সে পুলিশের হাতে আটক হয়।
এব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, বাড়িঘরে হামলা-লুটতরাজের অভিযোগে ৮ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে বীরমুক্তিযোদ্ধার ছেলে এবিএম মশরেকুল আলম লিচু বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামী আটককৃত সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে জেল হাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
/আইপি