আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেন বহুদিন ধরেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ট্যাংক দাবি করছে। ব্রিটেন কিছু ট্যাংক দিতে রাজি হলেও জার্মানি তাদের আধুনিক লেপার্ড-২ ট্যাংক দিতে চায় না। এ নিয়ে বার্লিনের ওপর ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলোর চাপ বাড়ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা জানিয়েছেন, পশ্চিমা বিশ্বের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে শত শত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। রাশিয়া সতর্ক করে বলেছে, পশ্চিমারা ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্র সরবরাহ করলে বৈশ্বিক দুর্যোগ সৃষ্টি হবে।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক শনিবার এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘আজকের সিদ্ধান্তহীনতা আমাদের আরো বেশি লোককে হত্যা করছে। ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্তে যত দেরি হবে, তত ইউক্রেনীয়দের মৃত্যু ঘটবে। গত শুক্রবার প্রায় ৫০টি দেশ ইউক্রেনকে কয়েক শ কোটি ডলার মূল্যের ভারী সামরিক অস্ত্র সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে আছে সাঁজোয়া যান এবং যুদ্ধাস্ত্র।
জার্মানির তৈরি লেপার্ড-২ ট্যাংক চায় ইউক্রেন। বেশ কয়েকটি মিত্রদেশ ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সুরে সুর মিলিয়ে বলেছে, জার্মানির ট্যাংকগুলো ইউক্রেনের চেয়ে ক্ষমতায় অনেক বড় প্রতিবেশীর সঙ্গে যুদ্ধে খুব দরকার। এদিকে তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক যৌথ বিবৃতিতে রুশ আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং ইউক্রেনকে সহায়তা করতে জার্মানিকে ট্যাংক দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার সতর্ক বার্তা : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ ও পার্লামেন্টের স্পিকার ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো যেভাবে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে, তাতে বিশ্বে ভয়ংকর যুদ্ধ হতে পারে। ওয়াশিংটন এবং ন্যাটো কিয়েভকে ভারী অস্ত্র সরবরাহ করলে ইউক্রেন রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালাতে পারে। আর মস্কো দ্বিগুণ গতিতে এর পালটা জবাব দেবে, যা যুদ্ধকে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে।
গতকাল রবিবার হঠাৎ করেই ইউক্রেন সফরে যান সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কিয়েভে তিনি দেশটির প্রেসিডন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করে বলেন, ‘যতদিন প্রয়োজন ইউক্রেনের পাশে থাকবে ব্রিটেন’। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রবিবার জনসন কিয়েভ উপকণ্ঠের দুই শহর বোরোদিয়াঙ্কা ও বুচা সফরও করেছেন। ক্ষমতায় থাকতে বরিসই প্রথম বিদেশি হিসেবে যুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন।
এমআই